লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লম্বা সময় পর, ক্যাম্প ন্যুতে ফেরার পরিকল্পনা করছে বার্সেলোনা। তবে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় ক্লাব কর্তৃপক্ষের এমন দাবিকে অযৌক্তিক মনে করছেন সমর্থকরা। এদিকে, রাজস্ব হারানোর ভয়ে ক্যাম্প ন্যুতে ম্যাচ ফেরাতে উঠেপড়ে লেগেছে বার্সেলোনা।
বার্সেলোনার মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে সংস্কার কাজ চলমান থাকায়, লা লিগার প্রথম ৩টি ম্যাচই প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে হচ্ছে কাতালান ক্লাবটিকে। তবে লিগের চতুর্থ ম্যাচ ঘরের মাঠে আয়োজন করতে উঠেপড়ে লেগেছে কাতালান ক্লাবটি। যদিও ক্যাম্প ন্যুতে সেই ম্যাচ আয়োজন নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।
১৪ সেপ্টেম্বর ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ক্যাম্প ন্যুতে নতুন করে যাত্রা শুরুর কথা বার্সেলনার। ম্যাচ আয়োজনে তিন সপ্তাহের বেশি সময় হাতে থাকলেও, এখনও সংস্কারের অনেকটা কাজই বাকি রয়ে গেছে। স্টেডিয়ামের গ্যালারির বড় একটি অংশ ছাড়াও গ্যালারির শেড স্থাপনের কাজ শুরুই হয়নি। আপাতত গোলপোস্টের পেছনের গ্যালারি ও ভিআইপি গ্যালারির কাজ শেষ করে ২৭ হাজার আসন প্রস্তুত করে হোম ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের। তবে এ জন্য প্রয়োজন উয়েফার ছাড়পত্র। তাই বার্সেলোনার হোম ম্যাচ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে সমর্থকরাও।
বার্সেলোনার এক সমর্থক বলেন, 'আমি স্টেডিয়ামের ছবি দেখেছি। তা দেখে আমার মনে হয় না এখানে এত দ্রুত ম্যাচ আয়োজন সম্ভব। বর্তমানে এতো দর্শক নিয়ে কোনো ম্যাচ হোস্ট করার অবস্থায় নেই স্টেডিয়ামটি।'
এদিকে আরেক দর্শক বলেন, 'যদি তারা খেলোয়াড়দের মাথায় ইট-পাথর ফেলতে চায় তাহলে তারা ম্যাচ আয়োজন করতে পারে। তবে আমি মনে করি এত দ্রুত এখানে খেলা আয়োজন অযৌক্তিক।'
এদিকে ২৮ আগস্টের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের হোম ভেন্যুও উয়েফাকে নিশ্চিত করতে হবে বার্সেলোনার। তা না হলে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলতে হবে অন্য স্টেডিয়ামে। এতে রাজস্ব হারাবে বার্সেলোনা। তাই তাড়াহুড়ো করেই ক্যাম্প ন্যুতে ম্যাচ ফেরানোর প্রচেষ্টায় বার্সেলোনা।
ক্রীড়া সাংবাদিক ডেভিড ইবানেজ বলেন, 'অর্থনৈতিক বিষয়টি মাথায় রেখে তারা এখানে দ্রুত ম্যাচ ফেরাতে চায়। দর্শকদের ক্যাম্প ন্যুতে ফেরা নিয়ে তাড়া নেই। কারণ তারা অলিম্পিক স্টেডিয়ামে যেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তবে তারা ক্যাম্প ন্যুতে খেলা ফিরিয়ে সম্পূর্ণ অর্থ পেতে চায়। মূলত, এর জন্যই তারা ঘরের মাঠে ফিরতে তাড়াহুড়া করছে।'
ক্যাম্প ন্যুতে ম্যাচ আয়োজনে উয়েফার সময়সীমা আর ছাড়পত্র ছাড়াও মিলতে হবে শহর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন।
এফপি/এসএন