৩২ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশ ভারতে রাজ্যের সংখ্যা ২৮ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা ৮টি। ভারতের ২৮টি রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত দুই অঞ্চল দিল্লি এবং পদুচেরিতে মুখ্যমন্ত্রীশাসিত রাজ্য সরকার ক্ষমতাসীন।
অর্থাৎ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভারতে মুখ্যমন্ত্রীর সংখ্যা ৩০ জন। এই ৩০ জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ১২ জন, অর্থাৎ শতকরা হিসেবে ৪০ শতাংশই ফৌজদারি মামলার আসামী।
ভারতের গণতন্ত্র ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী এনজিও অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ তথ্য।
এডিআরের প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে গতকাল। সেখানে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ফৌজদারি মামলা চলছে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্ত রেড্ডির বিরুদ্ধে— ৮৯টি। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই আছেন দক্ষিণ ভারতের অপর রাজ্য তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। তার বিরুদ্ধে চলছে ৪৭টি ফৌজদারি মামলা।
তালিকায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানেও রয়েছে দক্ষিণ ভারত। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর বিরুদ্ধে চলছে ১৯টি মামলা; এডিআরের তালিকায় তিনি আছেন তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে অবস্থান করা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারমাইয়াহ-এর বিরুদ্ধে চলছে ১৩টি মামলা। পঞ্চম স্থানে আছেন মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক আদালতে ৫টি ফৌজদারি মামলা চলছে।
এছাড়া কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে দু’টি, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের বিরুদ্ধে ১টি, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে ১টি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্দ সিং মানের বিরুদ্ধে ১টি ফৌজদারি মামলা চলছে।
ভারতের এই ১২ জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, ঘুষ গ্রহণ এবং ভয়-ভীতি প্রদর্শণের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এডিআরের প্রতিবেদনে।
সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পার্লামেন্ট লোকসভায় তিনটি বিল উত্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেসব বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, এখন থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যদি কোনো ফৌজদারি মামলা দায়ের হয় এবং মামলার অভিযোগ যদি গুরুতর হয়— তাহলে মামলা দায়েরের ৩০ দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে।
লোকসভায় এমন আবহের মধ্যেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করল এডিআর।
এফপি/ টিকে