ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগ

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ১৩ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। আগস্ট মাসের মধ্যেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।’

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি হাওরে, আমি জানি বাস্তব অবস্থা কী। শুধু হাওর নয়, দেশের চরাঞ্চল বা প্রত্যন্ত এলাকাতেও শিক্ষকরা থাকতে চান না, শহরে বদলি হতে চান। নিয়ম অনুযায়ী যেখানেই পোস্টিং সেখানেই থাকতে হয়।

কিন্তু তদবির আর বদলির চাপে বস্তবতা অন্য রকম। এসব সমস্যা ওপর থেকেই সৃষ্ট। এটা আসলে আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা।’

সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

তাদের নিয়ন্ত্রণকারী সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারাও একই গ্রেডে আছে। এ ক্ষেত্রে এটিইওদের গ্রেড উন্নয়নে সরকার কী ভাবছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তারা দশম গ্রেডে থাকলেও প্রশাসনিক চেইন অব কমান্ড ভেঙে যাব, এমন ধারণা সঠিক নয়। তবে তাদেরও (কর্মকর্তা) গ্রেডের উন্নয়ন দরকার।’

মতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা। তিনি বলেন,‘ কিশোরগঞ্জ জেলায় বর্তমানে ৮০৫ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণবিহীন আছেন।

তাদের দ্রুত প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। তাছাড়া ১৮০টি বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালু হচ্ছে। একইসঙ্গে সহকারী শিক্ষকদেরও মূল্যায়নের প্রয়োজন রয়েছে। তা-ও করবে সরকার।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এনডিসি (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুকিত সরকার, এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজিব আলম।

এমকে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সালমান খানের বাড়িতে যাতায়াত,ফোন পেয়েছিলেন বিদ্যা বালানেরও Oct 23, 2025
img
পশ্চিম তীর দখলের বিল ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার জন্য হুমকি : রুবিও Oct 23, 2025
img
মা হারালেন মেহের আফরোজ শাওন Oct 23, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চলছে তৃতীয় দিনের আপিল শুনানি Oct 23, 2025
img
কপিল শর্মার পর এবার নিশানায় পাঞ্জাবি গায়ক তেজি কাহলন Oct 23, 2025
img
তিউনিসিয়া উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি, প্রাণহানি অন্তত ৪০ Oct 23, 2025
img
এইচএসসি পাসের হার কম, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফাঁকা থাকছে ১১ লাখ আসন Oct 23, 2025
img
অস্ত্রোপচারের পর নতুন জটিলতায় অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর Oct 23, 2025
img
‘ব্যক্তিগত মাহি অনেক সাধারণ’ Oct 23, 2025
img
এইচএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন শেষ হচ্ছে আজ Oct 23, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চূড়ান্ত আপিল শুনানি আজ Oct 23, 2025
img

দাবি আফগানিস্তানের

সংঘাতের সময় কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করেছে ওয়াশিংটন Oct 23, 2025
img
জেনেভা ক্যাম্পে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত Oct 23, 2025
img
ইসরায়েলের পার্লামেন্টে পশ্চিম তীর দখলের বিল পাস Oct 23, 2025
img
বায়ু দূষণের শীর্ষে বাগদাদ, ঢাকার অবস্থান কত? Oct 23, 2025
img
সরকার থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে : আমীর খসরু Oct 23, 2025
img
সৌদির নতুন গ্র্যান্ড মুফতিকে শায়খ সুদাইসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন Oct 23, 2025
img
‘শুধু রক্তের সম্পর্কের মানুষই ভাই হয় না’ Oct 23, 2025
img
প্রতিবার পুতিনের সঙ্গে কথা বলি, কিন্তু তারপর কিছুই এগোয় না : ট্রাম্প Oct 23, 2025
img
সেনা কর্মকর্তাদের আদালতে হাজিরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল অ্যামনেস্টি Oct 23, 2025