স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পর অনেকে দেশ ছেড়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যান। কেউ দেশ থেকে পালানোর সময় গ্রেফতার হন, আবার কেউ ছাত্রজনতার হাতে গণধোলাইয়ের পর গ্রেফতার হন। তাদের মধ্যে একজন হলেন ফ্রিল ফ্রেজার। গত নভেম্বরে হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি দেখা গেছে, মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত ফ্রেজার একজন নারীর সঙ্গে নিয়মিত টিকটক ভিডিও এবং রিল বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি ঢাকা মহানগর উত্তরের ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ছিলেন। গত ২ নভেম্বর উত্তরার ছাত্রদের হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ হন।
জানা গেছে, তার নামে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।
চব্বিশের বিপ্লবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের মারধর, ১৯ জুলাই উত্তরায় হত্যাকাণ্ড, লীগের শান্তি মিছিলের সময় (২ আগস্ট, ৪ আগস্ট) উত্তরায় অস্ত্র হাতে উপস্থিত থাকার মতো একাধিক ঘটনায় জড়িত ছিলেন এই ছাত্রলীগ নেতা। ‘জুলাই রেভলুশনারি অ্যালায়েন্স’-এর ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, এই আসামি গত পরশু বিমানবন্দর দিয়ে মালয়েশিয়া চলে গেছেন। প্রশ্ন উঠছে—বিমানবন্দর দিয়ে কীভাবে একটি হত্যা মামলার আসামি দেশত্যাগ করতে পারে? বেবিচক (বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ) এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
জেআরএ’র (জুলাই রেভলুশনারি অ্যালায়েন্স) পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, অনেক মামলার আসামি বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিমানবন্দর দিয়ে দেশত্যাগ করেছে—এমন তথ্য তাদের হাতে রয়েছে। শিগগিরই বেবিচক কার্যালয়ের সামনে এ বিষয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এসবের জবাবদিহি চাওয়া হবে।
ইউটি/টিএ