জেনেভায় ইরানের সঙ্গে বসছে ইউরোপের তিন শক্তি

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইরান ও ইউরোপের তিন দেশ—ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে নতুন পরমাণু আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, বৈঠকটি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও এই বৈঠকে অংশ নেবে। এর আগে গত ২৫ জুলাই ইস্তাম্বুলে ইরান ও ইউরোপীয়দের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল।

জুনের মাঝামাঝি সময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের ১২ দিনের যুদ্ধের পর এটি হবে দ্বিতীয় বৈঠক। সেই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়। এরপর আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) যথাযথ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে তেহরান সংস্থাটির সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করে।

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কারণে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চলমান পরমাণু আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে।

ইউরোপের তিন দেশ সতর্ক করেছে, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সীমিত না করলে এবং আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা পুনরায় শুরু না করলে তারা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির অধীনে ‘স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম’ সক্রিয় করবে। এতে জাতিসংঘের পুরোনো নিষেধাজ্ঞাগুলো আবার কার্যকর হবে। তবে ইরান অভিযোগ করেছে, ইউরোপীয়রা চুক্তি লঙ্ঘন করছে এবং তাদের এ ধারা প্রয়োগের কোনো অধিকার নেই।

২০১৫ সালে ইরান বিশ্বের ছয় পরাশক্তি—যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) স্বাক্ষর করে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিনিময়ে ইরান তার পরমাণু কার্যক্রম সীমিত করতে সম্মত হয়। তবে ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে চুক্তি থেকে সরে গিয়ে ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

চুক্তির ইউরোপীয় তিন দেশ জানিয়েছে, ইরান ওয়াশিংটনের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরু করলে এবং আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা ফিরিয়ে আনলে ‘স্ন্যাপব্যাক’ কার্যকর করার সময়সীমা, যা অক্টোবরেই শেষ হবে, বাড়ানো হতে পারে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এ বিষয়ে বলেছেন, ইউরোপীয়দের ‘স্ন্যাপব্যাক’ কার্যকর করার কোনো বৈধ অধিকার নেই।

এফপি/ টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিদেশযাত্রা বাতিল, মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসীকে গালাগাল Oct 19, 2025
img
সাম্প্রতিক আগুনের ঘটনাগুলো ‘সন্দেহজনক’, মির্জা গালিব Oct 19, 2025
img
নির্বাপণ কাজে বিলম্বের অভিযোগ আমলে নেয়া হবে: বিমান উপদেষ্টা Oct 19, 2025
img
আমি এখন আগের চেয়েও বেশি ফিট: কোহলি Oct 19, 2025
img
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক প্রতিনিধিরা Oct 19, 2025
img
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক প্রতিনিধিরা Oct 19, 2025
নেটিজেনদের মন জয় করলো নুসরাত–যশের মিষ্টি রসায়ন Oct 19, 2025
img
২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি: মাহমুদ হাসান খান Oct 19, 2025
মাছ লুট ও হামলা! শ্রমিকদল নেতার বিরুদ্ধে যুবদল নেতার অভিযোগ! Oct 19, 2025
শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ভাতা বাড়াল সরকার Oct 19, 2025
সালাহউদ্দিনের মন্তব্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি নাহিদ ইসলামের Oct 19, 2025
img
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পিআরের কোনো সাকসেসফুল স্টোরি নেই : ডা. সায়ন্থ Oct 19, 2025
পাকিস্তানকে ভুলে গেছে আফগানরা, অভিযোগ শহীদ আফ্রিদির Oct 19, 2025
img
বুলেটপ্রুফ গাড়ি কিনছে বিএনপি Oct 19, 2025
img
পহেলা নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা : পরিবেশ উপদেষ্টা Oct 19, 2025
img
সংঘর্ষে জরালো ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা Oct 19, 2025
img
এমন দুর্বলতা রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তোলে : জাহেদ উর রহমান Oct 19, 2025
img
জঙ্গলীয় কায়দায় চলছে ইসি: নাসীরুদ্দীন Oct 19, 2025
img
নির্বাচনী দায়িত্বে পেশাদারিত্ব পালনের আহ্বান সিইসির Oct 19, 2025
img

শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড

ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন Oct 19, 2025