সংস্কার না হলে অনেক দলই নির্বাচনে অংশ নেবে না : সারোয়ার তুষার

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, নির্বাচনে শুধু বিএনপি একা ৩০০ আসন পেলেও একা ইলেকশন করতে পারবে না। সবাইকে নিয়েই করতে হবে। সংস্কার এবং নির্বাচন দুটোই হতে হবে। এই সরকারকে সরিয়ে আরেকটা নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা, এক এগারো টাইপের এগুলো হলে দেশের পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।

সংস্কার না হলে শুধু এনসিপি না অনেক দলই নির্বাচনে অংশ নেবে না। নির্বাচনে অংশ নেয়া, না নেয়া ব্যাপার না, নির্বাচনের পরিবেশটাই তৈরি হবে না।

সম্প্রতি এক টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

সারোয়ার তুষার বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানের পরে যে সরকার গঠিত হয়েছে তার দায়িত্ব শুধু ইলেকশন দেওয়া না।

ওটা করলে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করলেই হতো। যখন এরশাদের পতনের পরে শাহাবুদ্দিনের সরকার গঠিত হয়েছিল। তারা তিন মাসের মধ্যে একটা ইলেকশন দিয়েছে। পরবর্তী সরকারের কাছে তারা কিছু সংস্থার প্রপোজাল দিয়েছিল।

তারা নিজেরা সেটা বাস্তবায়ন করে নাই। এই সরকার তো সেই ধরনের না। একটা এক্সট্রা অর্ডিনারি সিচুয়েশনের মধ্যে দিয়ে গঠিত। ফলে আপনি যদি রিফর্মের প্রশ্নটা ডিল না করে ইলেকশনে যান ইলেকশনটাই সুষ্ঠু করতে পারবেন না, এটা হচ্ছে বাস্তবতা।

তুষার বলেন, উদ্দীপনা নিয়ে জনগণ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে তো অংশ নিতে হবে।

নির্বাচনে শুধু বিএনপি একা ৩০০ আসন পেলেও একা ইলেকশন করতে পারবে না। সবাইকে নিয়ে করতে হবে। সবাইকে নিয়ে করতে গেলে সবার যে নূন্যতম চাওয়াটা সেটা পূরণ করতে হবে।

তুষার আরো বলেন, এই সরকার বারবার বিভিন্ন বিবৃতিতে, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে বলেছে যে, তাদের তিনটা ম্যান্ডেট বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন।

ফলে একটা গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি বের করতে হবে যার মধ্যে সংস্কার এবং নির্বাচন দুটোকে ডিল করা যাবে। আমরা চাই না যে অনন্তকাল ধরে সরকার ক্ষমতায় থাকুক। এটা কে কোথায় কি স্বপ্ন দেখছে সেটা না। আমাদের দলীয় পজিশনে আমরা সবসময় বলেছি যে সংস্কার এবং নির্বাচন দুটোই হতে হবে। দুইটা হওয়ার জন্য আমরা আমাদের জায়গা থেকে গণপরিষদে কথা বলেছি।

এমআর/এসএন   

Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘জনগণ না চাইলে পিআর পদ্ধতির দাবি থেকে সরে আসবে জামায়াত’ Sep 05, 2025
img
বিএনপিকে বাধা দিতে গভীর যড়যন্ত্র চলছে: দুদু Sep 05, 2025
img

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২:

পুনঃনির্ধারিত সীমানা নিয়ে রুমিন ফারহানার সন্তুষ্টি প্রকাশ Sep 05, 2025
img
১০০ রুপিতে শুরু হলো নারী বিশ্বকাপের টিকিটের আগাম বিক্রি Sep 05, 2025
img
আফগানিস্তানের জন্য জরু‌রি ত্রাণসামগ্রী পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ Sep 05, 2025
img
অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন থেকে এনএসসি প্রতিনিধির পদত্যাগ Sep 05, 2025
img
আফগানিস্তানে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প Sep 05, 2025
img
নুরের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন Sep 05, 2025
img
দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা ব্যাটার গড়লেন নতুন বিশ্ব রেকর্ড Sep 05, 2025
img
‘তোমরা হাতাহাতি করবা আর ভোট করে দিবো আমি, মামার বাড়ির আবদার’ Sep 05, 2025
img
ঢাকার ধানমণ্ডি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার Sep 05, 2025
img
নুরের ঘটনা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কড়া বার্তা দিলেন ফুয়াদ Sep 05, 2025
img
৪৬টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনল নির্বাচন কমিশন Sep 05, 2025
img

ডাকসু নির্বাচন:

ডাকসু ক্যাফেটেরিয়াকে কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছে ছাত্রদল Sep 05, 2025
img
‘১ ২ ৩ ৪, প্রক্টর তুই গদি ছাড়’, চবিতে স্লোগান Sep 04, 2025
img
দুবাইয়ে ১২০০ কোটি টাকা পাচার, স্ত্রীসহ সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা Sep 04, 2025
img
এবার কাদেরকে সমর্থন দিলেন ছাত্রদল সভাপতি Sep 04, 2025
img
নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র বিএনপি মেনে নেবে না: আবদুল কাদির Sep 04, 2025
লিফলেট নয়, সিল দিয়ে প্রচারণায় এজিএস প্রার্থী আবিদ! Sep 04, 2025
৩১ দফা বাংলাদেশের মুক্তির রক্ষাকবচ - বুলু Sep 04, 2025