ইসির প্রস্তাবিত আরপিও নিয়ে রাজনৈতিক দলে ভিন্নমত প্রকাশ

অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংস্কার পরিকল্পনার বড় অংশজুড়ে জায়গা পেয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা। এরই মধ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থা নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবিত আরপিও আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং হলে সরকারের অনুমোদনের জন্য তা উত্থাপন করা হবে উপদেষ্টা পরিষদের সভায়। সেই ধাপ পেরিয়ে রাষ্ট্রপতি সংশোধনীর অধ্যাদেশ জারি করবেন।

এবারের আরপিওতে বেশ কিছু বড় পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ইসি। এতে ভোটার অনুপাতে নির্বাচনী ব্যয় আসনভিত্তিক ২৫ লাখেরও বেশি করার সুযোগ, অনলাইনে মনোনয়ন জমার সুযোগ না রাখা, একক প্রার্থীর আসনে না ভোট চালু, জোটে ভোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করা, জামানত ২০ হাজারের পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা, রিটার্নিং অফিসারের ভোট বাতিলের ক্ষমতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য হলে প্রার্থী হতে পারবে না- এমন ছোট-বড় ৪০-৪৪টি সংশোধন প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিতে থাকা, নির্বাচনে অযোগ্যতা বিবেচনা ছাড়া প্রস্তাবের বেশিরভাগেই একমত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। শুধু আইন প্রণয়ন নয়, বরং তা বাস্তবায়নে ইসির সক্ষমতাকে গুরুত্ব দিতে চান তিনি।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলছেন, আলাপ আলোচনা ছাড়াই চূড়ান্ত প্রস্তাবনা এনেছে ইসি। আরপিওতে পিআর পদ্ধতি যুক্ত না করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তাবিত আরপিওকে গ্রহণযোগ্য বলছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তবে, জোটবদ্ধ দলের শরীকদের প্রতীক ব্যবহার বন্ধ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নির্বাচনে অযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করার সমালোচনা করছেন তিনি।

নির্বাচন বিশ্লেষক মুনিরা খান বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা গেলে সংশোধীত আরপিও ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারবে। নির্বাচনী সংস্কৃতি পরিবর্তনে রাজনৈতিক দলগুলোকেও সহযোগিতা করতে হবে।

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
খালেদা জিয়া রাজনৈতিক অঙ্গনের জীবন্ত কিংবদন্তী : কবীর ভূইয়া Dec 14, 2025
img
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবিচল সাহস দেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় : রাষ্ট্রপতি Dec 14, 2025
img
প্রথম ডেটে সারারাত পিয়ানো বাজিয়েছিলেন বীর, নায়িকার মন্তব্য Dec 14, 2025
img
হাদির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্র : শেখ বাবলু Dec 14, 2025
img
হাদিকে গুলি করা দুর্বৃত্ত গোয়েন্দাদের নজরে! Dec 14, 2025
img
ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমের দুঃখ প্রকাশ Dec 14, 2025
img
চট্টগ্রামে সোমবার অনুষ্ঠিত হবে হৃদরোগ কনফারেন্স Dec 14, 2025
img
ঢাকা বিভাগের ইজতেমায় ক্রিকেটার মিরাজ Dec 14, 2025
img
অন্যের হাসিতেই জীবনের পরম সার্থকতা দেখেন গায়িকা Dec 14, 2025
img
পার্শ্ববর্তী দেশের উস্কানিতে আ.লীগের দালালরা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে : খোকন Dec 14, 2025
img
সরকার পতনের তিন মাস পর নেপালে ফের অলির জোয়ার Dec 14, 2025
img
খুলনায় অস্ত্র কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ৩ Dec 14, 2025
img
উত্তরায় জুলাই রেবেলস সংগঠনের এক সদস্যের ওপর হামলা Dec 14, 2025
img

দ্য ডিসেন্টের বিশ্লেষণ

হাদির ওপর হামলার ঘটনায় দ্বিতীয় সন্দেহভাজন শনাক্ত Dec 14, 2025
img
খালেদা জিয়ার সুস্থতা মানেই গণতন্ত্রের আশা : আজহারুল ইসলাম মান্নান Dec 14, 2025
img
বিদায়ী ম্যাচের আগে জন সিনার হৃদয়স্পর্শী বার্তা Dec 14, 2025
img
পঞ্চগড় সীমান্তজুড়ে বিশেষ সতর্কতা Dec 14, 2025
img
দেশব্যাপী বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫০৬ Dec 14, 2025
img
আহত শান্তিরক্ষীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ Dec 14, 2025
img
সাফল্যের পেছনে ভাগ্য নয়, কর্মই আসল : কাজল Dec 14, 2025