মৎস্য খাতে দেশের বিজ্ঞানীদের অবদান গর্ব করার মতো : মৎস্য উপদেষ্টা

মৎস্য খাতে এ দেশের বিজ্ঞানীদের অবদান গর্ব করার মতো। তাই মৎস্য সম্পদ রক্ষায় গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী তৃতীয় ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর সাসটেইনেবল ফিশারিজের (আইসিএসএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন উপদেষ্টা।

টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা ও গবেষণার উন্নয়ন, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি বিনিময় এবং অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অতিরিক্ত মাছ শিকার এবং অবৈধ জাল যেমন চায়না জাল ও ট্রল ডোর ব্যবহার করে মাছ শিকার অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে মাছের ক্ষতি হচ্ছে এবং ভবিষ্যতের কথা কেউ ভাবছে না।

তিনি বলেন, শীতকালে কৃষিকাজে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে বর্ষা মৌসুমে সেই বিষ পানিতে মিশে মাছের ক্ষতি করছে।

কীভাবে কৃষিতে বালাইনাশকের ব্যবহার কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা যায় সে লক্ষ্যে কৃষি খাতে বালাইনাশক ব্যবহার সীমিত করতে ইতোমধ্যে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ইলিশের প্রসঙ্গে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, এ বছর ইলিশ আহরণের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বৃষ্টি সময়মতো না হওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ এবং নদীর নাব্যতা হ্রাসসহ নানা কারণে ইলিশ আহরণ কমে গেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মিঠা পানির মাছ চাষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নিরাপদ ও মানসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করতে মিঠা পানির মাছের চাষ বাড়াতে হবে। তাই মাছের বৈচিত্র রক্ষা এবং হাওড়, নদীসহ প্রজনন ক্ষেত্রগুলো সংরক্ষণে জোর দিতে হবে।

হাওড়ের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাওড়ে অপরিকল্পিত সড়ক বা অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করে প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করা যাবে না। হাওড় গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটকে সমন্বয় করে কীভাবে হাওড় রক্ষা করা যায়, সে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img

জেলেনস্কি

ভারতের ওপর মার্কিন শুল্ক ‘সঠিক’ Sep 09, 2025
img
ক্যালিফোর্নিয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানে নবদম্পতির উপহারবক্স থেকে ৬০ হাজার ডলার চুরি Sep 09, 2025
img

ইরানের প্রেসিডেন্ট

বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থায় গভীর সংস্কার প্রয়োজন Sep 09, 2025
img

ডাকসু নির্বাচন

নকল আইডি কার্ড বানিয়ে ঢাবিতে প্রবেশের চেষ্টা, আটক ১ Sep 09, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনেই অনড় সরকার, ড. ইউনুসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল Sep 09, 2025
img

ছাত্রদল সেক্রেটারি

স্বাধীনতা সংগ্রামের তাৎপর্য বিবেচনা করেই ডাকসুতে ভোট দিন Sep 09, 2025
img
পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে পদ হারালেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী Sep 09, 2025
img
যুক্তরাজ্যে কারিনার অনুষ্ঠান ঘিরে হট্টগোল, ভিড়ে জ্ঞান হারাল এক ভক্ত Sep 09, 2025
img
ভিপি পদে শামিমকে জেতাতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গ্রুপে নির্দেশনা! Sep 09, 2025
img
ডিফেন্স সার্ভিসেস প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বৈঠক Sep 09, 2025
img

এলডিপি মহাসচিব

জুলাই সনদ সংবিধান থেকে বড় নয় Sep 09, 2025
img
ডাকসুর ভোট গণনায় ১৪ মেশিন, ঘণ্টায় গোনা যাবে ৮০০-১৩০০ ব্যালট Sep 09, 2025
img
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আসিফ নজরুলের ফেসবুক পোস্ট Sep 09, 2025
img

চরমোনাই পীর

ডাকসুর মাধ্যমে আগামী রাজনীতির যাত্রাপথ স্পষ্ট হবে Sep 09, 2025
img

তাজনূভা জাবীন

ডাকসু নির্বাচনে তারাই জিতবে, যারা মেয়েদের ভোট বেশি পাবে Sep 09, 2025
img
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য রাষ্ট্র আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন : এসপি তারিকুল Sep 09, 2025
img
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে নতুন ডিজি Sep 08, 2025
img
ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের অনেক প্রশ্নের মীমাংসা প্রয়োজন : হাদি Sep 08, 2025
img
সকল সাংবাদিকদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়: তথ্য উপদেষ্টা Sep 08, 2025
img
বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে মেসির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি: স্ক্যালোনি Sep 08, 2025