রাতভর ইউক্রেন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ হতাহত ২১

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাতভর রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীও রয়েছেন।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো বলেন, ড্রোন হামলার পরপরই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এসব হামলায় রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে সরকারি ভবনে আগুন ধরে যায়।

টেলিগ্রামে দেয়া বার্তায় ক্লিচকো জানান, ড্রোন হামলায় এক শিশু ও এক তরুণী নিহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীসহ পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে তিনি জানান, নিপ্রো নদীর পূর্বে দারনিতস্কি জেলায় একটি বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে এক বৃদ্ধা নারী মারা গেছেন।

রাষ্ট্রীয় জরুরি বিভাগ জানায়, ওই এলাকায় ড্রোন হামলায় চারতলা আবাসিক ভবনের দুইতলায় আগুন ধরে যায় এবং ভবনটি আংশিক ধসে পড়ে।

কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, পশ্চিমাঞ্চলীয় সভিয়াতোশিনস্কি জেলায় নয়তলা একটি ভবনের কয়েকটি তলা ধসে যায়। মেয়র ও জরুরি কর্মকর্তারা জানান, ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে ১৬ তলা একটি ভবন ও আরও দুটি নয়তলা ভবনে আগুন লাগে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জরুরি বিভাগের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বেশ কিছু আবাসিক ভবনে আগুন জ্বলছে, কিছু ভবনের তলা ভেঙে পড়েছে ও দেয়ালের অংশ ধসে পড়েছে।

কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো অভিযোগ করে বলেন, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করছে।

দক্ষিণের ওডেসা শহরে বেসামরিক স্থাপনা ও আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং একাধিক অ্যাপার্টমেন্টে আগুন ধরে যায় বলে জানিয়েছেন গভর্নর ওলেহ কিপার।

হামলার বিষয়ে মস্কো এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। দুই পক্ষই বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে, যদিও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর থেকে হাজারো বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফিট থাকতে সাড়ে ৯ ঘণ্টা ঘুমান রোনালদো, আরও যা করেন Sep 08, 2025
img
মাস্কের সঙ্গে দূরত্বের পর জাকারবার্গকে কাছে টানছেন ট্রাম্প! Sep 08, 2025
img
আমাদের জন্য দারুণ এবং উত্তেজনাপূর্ণ এশিয়া কাপ হতে যাচ্ছে : রশিদ Sep 08, 2025
img
শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে আনা হয়েছে বদরুদ্দীন উমরকে Sep 08, 2025
img
দুই খুনের আসামি আমার গলায় খুর ধরেছিল : সঞ্জয় দত্ত Sep 08, 2025
img
জাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট Sep 08, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না : সেনাবাহিনী Sep 08, 2025
img
সাবিনা ইয়াসমিনকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান Sep 08, 2025
img
আমাদের একটু সহিষ্ণু ও রিয়ালিস্টিক হতে হবে: প্রধান বিচারপতি Sep 08, 2025
img
জয়পুরহাটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত, ৫ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক Sep 08, 2025
img
জুলাই জাতীয় সনদের খসড়া এখন রাজনীতির কেন্দ্রে : জিল্লুর রহমান Sep 08, 2025
img

ডাকসু নির্বাচন

ভোট গণনার পুরো প্রক্রিয়াটি সরাসরি দেখানো হবে এলইডি স্ক্রিনে Sep 08, 2025
img
বাংলাদেশকে হারিয়ে সমতায় ফিরল ইংল্যান্ড Sep 08, 2025
img
জয়পুরহাটে বগি লাইনচ্যুত, উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ Sep 08, 2025
img
লোহিত সাগরের তলদেশে বিছিন্ন মাইক্রোসফটের ফাইবার অপটিক ক্যাবল Sep 08, 2025
img
রাশিয়ার অর্থনীতি ধসিয়ে দেওয়ার কড়া বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের Sep 08, 2025
img
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বড় জয় স্পেন ও জার্মানির Sep 08, 2025
img
হামাসকে শেষ বারের মতো সতর্ক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প Sep 08, 2025
img
ক্ষমা চাইছি, জানি না কখন চলে যাব : সোহেল রানা Sep 08, 2025
img

পশ্চিম তীরকে যুক্ত করার পরিকল্পনা

আমিরাতের পর ইসরাইলকে সৌদি যুবরাজের কড়া বার্তা Sep 08, 2025