জামায়াত নেতা আযাদ

মুক্তিযুদ্ধ না মানলে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা হবে

মুক্তিযুদ্ধ না মানলে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমরা সবসময় বাংলাদেশের আইনি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া মেনেই রাজনীতি করে আসছি। স্বাধীনতার যুদ্ধ যে আমাদের জাতির অর্জন, তা আমরা বারবার বলেছি। বাংলাদেশকে মেনে নিয়েই সবাই রাজনীতি করছে, আমরাও তাই করি। সুতরাং অতীতের কথা টেনে আনার কোনো সুযোগ নেই। মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশকেই অস্বীকার করা।

এ সময় জুলাই সনদ নিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, বারবার ভুল পদক্ষেপ করলে জুলাই সনদ পুনরায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। তাহলে কি আমরা সারা জীবন এই সংকটে ভুগব? সারা জীবন রক্ত বা জীবন দিতে থাকব- এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।

জুলাই সনদের আইনি যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা কি বারবার ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার সুযোগ তৈরি করার জন্য সংস্কার করছি? অবশ্যই নয়। সেজন্য ‘সংবিধান অর্ডার ২০২৫’ জারি করা হলে কোথাও চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ থাকবে না, এবং এটি আইনগতভাবে এক শক্তিশালী অবস্থান হিসেবে থাকবে।

তিনি বলেন, সংবিধানের আর্টিকেল ৭-এ জনগণের পরম ইচ্ছার কথা বলা আছে। তার ভিত্তিতে যদি এই সংবিধান অর্ডারটি জারি হয়, এটি হবে সবচেয়ে শক্তিশালী। এরপর আমরা বলেছি, সরকার এটিকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। অর্থাৎ শক্তির ওপর শক্তি, জোরের ওপর জোর, যদি এ নিয়ে আবার গণভোট হয়। সেক্ষেত্রে আর কোনো ছিদ্র বা উন্মুক্ত জায়গা থাকবে না। আইনি বা অন্য কোনোভাবে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ থাকবে না। এ প্রস্তাবই আমরা দিয়েছি।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি সংক্রান্ত আলোকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে বলেও মন্তব্য করেন জামায়াতের ইসলামীর এই নেতা। তিনি বলেন, আমরা আগামীতে যে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাচ্ছি, সেটি হবে সুষ্ঠু এবং ইতিহাসের সেরা নির্বাচন। সবই সম্ভব হবে যদি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিতে নির্বাচন হয়। আমরা ইতোমধ্যেই বলেছি, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়া উচিত। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি তৈরি করে সেই ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

পিএ/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

এনসিপির প্রতীকে নতুন উত্তেজনা রাজনীতির ময়দানে Nov 03, 2025
img
গার্দিওলার চোখে হালান্ড এখন মেসি-রোনালদোর সারির খেলোয়াড় Nov 03, 2025
img
মূলত রাষ্ট্রপতির হাতে শপথ নেওয়াতেই জটিলতা রয়ে গেছে : রাশেদ খান Nov 03, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে অন্যরা সাড়া দিলে আমরাও আলোচনায় বসতে রাজি: তাহের Nov 03, 2025
img
বলিউড বাদশাহর সঙ্গে ‘কিং’ এর রাজসভায় কোন তারকারা থাকছেন Nov 03, 2025
img
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট, জরুরি সভায় নেওয়া হলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত Nov 03, 2025
img
৩৫০০ বছরের পুরোনো মিশরীয় ভাস্কর্য ফিরিয়ে দিবে নেদারল্যান্ডস Nov 03, 2025
img
২২তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে ইবতেদায়ি শিক্ষকরা Nov 03, 2025
img
এবারও আইপিএলের মিনি অকশন হতে যাচ্ছে ভারতের বাইরে! Nov 03, 2025
img
গেইল-সাকিবদের হোটেল বিল পরিশোধ না করেই পালিয়েছেন আয়োজকরা Nov 03, 2025
img
‘আমি দুঃখিত’, সাংবাদিকের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে আবদুস সালাম Nov 03, 2025
img
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮টি দল Nov 03, 2025
img
নিজের অবস্থানে অটল অভিনেতা হিরন Nov 03, 2025
img
কাজের জন্য কাউকে তেল দেব না: অরুণিমা ঘোষ Nov 03, 2025
img
প্রতিটি মেয়ের মোনামি ম্যামের মতো সাহসী হওয়া উচিত: জুমা Nov 03, 2025
img
এনসিপির সংসদে যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে বিএনপির ওপর : নুরুল হক নুর Nov 03, 2025
img
শিক্ষক মোনামির মামলায় আসামি যারা, যুক্ত করা হয়েছে স্ক্রিনশট Nov 03, 2025
img
বহু যুগে একবার এমন জয় আসে: গাভাস্কার Nov 03, 2025
img
মালদ্বীপে নতুন প্রজন্মের জন্য 'ধূমপান' সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ Nov 03, 2025
img
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ Nov 03, 2025