ঘরের মাঠে খেললেও অলিম্পিক মার্শেইয়ের বিপক্ষে পুরো ম্যাচে বেশ চাপেই ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। শুরুতে ডিফেন্ডার ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার আর্নল্ডের ইনজুরি নিয়ে ছিটকে যাওয়া, এরপর বদলি নামা দানি কার্ভাহালের লাল কার্ড। তবে ঘাম ঝরালেও ইতিহাস গড়া থেকে লস ব্লাঙ্কোদের থামাতে পারেনি ফরাসি ক্লাবটি।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের প্রথম ক্লাব হিসেবে ২০০ জয়ের মাইলফলক স্পর্শ করলো রিয়াল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মার্শেইকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারাল রিয়াল। পেনাল্টি থেকে গোল দুটি করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও ২৬টি শট, যার ১৬টি আবার লক্ষ্য বরাবর। বিপরীতে ৫৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৫ শটের ৫টি লক্ষ্য বরাবর মার্শেইর। ম্যাচের পরিসংখ্যান এবং ফল রিয়ালের পক্ষে থাকলেও মাঠের পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। ঘরের মাঠে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘাম ঝরাতে হয়েছে লস ব্লাঙ্কোদের। বেশ কয়েকবার পড়তে হয়েছে অস্বস্তিতে।
ইনজুরি নিয়ে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই মাঠ ছাড়েন আর্নল্ড। বদলি নামনো হয় কার্ভাহালকে। নিজেদের একের পর এক প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর উল্টো ২২তম মিনিটে গোল হজম করে বসে মাদ্রিদ। ম্যাসন গ্রিনউডের পাস পেনাল্টি এরিয়া থেকে নিঁখুত শটে জালে জড়িয়ে মার্শেইকে এগিয়ে দেন টিম উইয়াহ। অনেক চেষ্টার পর পেনাল্টি উপহার পেয়ে ২৯তম মিনিটে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। বক্সে রদ্রিগোকে ফাউল করায় ক্ষতিপূরণ দিতে হয় মার্শেইকে। সফল স্পটকিকে জাল খুঁজে নেন এমবাপ্পে।
দুদলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মাঝে ৭১তম মিনিটে দলকে বিপদে ফেলেন কার্ভাহাল। মার্শেইর গোলরক্ষক জেরোনিমো রুল্লির সঙ্গে সংঘাতে ঝড়িয়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এ ডিফেন্ডার। অবশ্য ১০ জনের দলে পরিণত হলেও লড়াই থামায়নি রিয়াল। সুযোগও চলে আসে তাদের সামনে। রদ্রিগোর বদলি নামা ভিনিসিউস ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে পেনাল্টি এনে দেন রিয়ালকে। এবারও এমবাপ্পের সফল স্পটকিক।
তাতে লিড পেয়ে যায় রিয়াল। ম্যাচের বাকি সময় রক্ষণ অটুট রেখে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নেয় তারা। জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন মিশন শুরু করেন এমবাপ্পেও। একইসঙ্গে প্রথম ক্লাব হিসেবে টুর্নামেন্টটিতে ২০০ জয়ের ইতিহাসও গড়ে রিয়াল।
এসএস/এসএন