গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশে একটি ইসলামিক স্কুলের ভবন ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে পৌঁছেছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা ন্যাশনাল সার্চ অ্যানড রেসকিউ এজেন্সি (বাসারনাস) এক বিবৃতিতে জানায়, উদ্ধারকর্মীরা প্রায় সব ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলেছেন।
গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো শহরের আল খোজিনি ইসলামি বোর্ডিং স্কুলটি ধসে পড়লে শতাধিক শিক্ষার্থী ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে। শিক্ষার্থীরা জোহরের নামাজ পড়ার সময় ভবনটি ধসে পড়ে। এরপর থেকেই পুলিশ, সেনা ও উদ্ধারকর্মীরা মাটি ও কংক্রিট সরিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার রাত পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা প্রায় ৮০ শতাংশ ধ্বংসাবশেষ সরিয়েছেন। এদিনও বেশ কয়েক শিক্ষার্থীর দেহাবশেষ উদ্ধার করেন।
আরও হতাহতদের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। উদ্ধার সংস্থার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, কর্মকর্তারা স্কুলের ধ্বংসস্তূপ থেকে কমলা রঙের ব্যাগে করে মরদেহ বহন করছেন।
স্কুলটির কয়েকজন শিক্ষক বলেছেন, শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য স্কুলটির ছাদে নির্মাণকাজ চলছিল, কিন্তু তলা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ভিত্তি বা ফাউন্ডেশন যে স্কুলটির নেই, তা আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। যে কারণে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় ৪২ হাজার ইসলামি বোর্ডিং স্কুল (স্থানীয়ভাবে ‘পেসানত্রেন’ নামে পরিচিত) রয়েছে।
তবে গণপূর্ত মন্ত্রী ডডি হানগোদোর বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর মধ্যে মাত্র ৫০টি স্কুলের বৈধ নির্মাণ অনুমতি রয়েছে।
আল খোজিনি স্কুলটির নির্মাণ অনুমতি ছিল কিনা, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এমআর/টিকে