দেশের আনাচে কানাচে অনেক জাম গাছ দেখতে পাওয়া যায়। ইংরেজিতে এটি ইন্ডিয়ান ব্ল্যাকবেরি নামে পরিচিত। সাধারণত জুন-জুলাই মাসে জাম পাওয়া যায়। খেতে সুস্বাদু এই ফলটি একইসঙ্গে নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। জামের মতোই জাম গাছের পাতারও অনেক ওষধিগুণ রয়েছে। যে কেউ চাইলে সারা বছর জুড়েই জাম পাতা পেতে পারেন খুব সহজে।
চিকিৎসার ভাষায় গাছটির নাম সিজিজিয়াম কিউমিনি। এই চিরসবুজ বৃক্ষটি দক্ষিণ এশিয়া, মালয়শিয়া, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়াতে জন্মায়। এর পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এটি অ্যান্টি-ভাইরাস ও প্রদাহনাশক হিসেবেও কাজ করে। এছাড়াও এই পাতার রস রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং অ্যালার্জি দূর করতে কার্যকরী।
ইউএস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের গবেষণা অনুযায়ী জাম ও জাম পাতা দেহে ক্যান্সারবিরোধী কোষ তৈরি করে। এর রসে বায়োঅ্যাক্টিভ ফাইটোক্যামিক্যাল বিদ্যমান, যা লিভারের অসুখ এবং ক্যান্সার আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমায়।
চলুন জাম পাতার আরও কিছু সুফলের কথা জেনে নিই-
টাইমস/এনজে/জিএস