গান্ধী পরিবারের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে নিল বিজেপি

ভারতের গান্ধী পরিবারের সদস্যদের দেওয়া বিশেষ নিরাপত্তা সুবিধা তুলে নিয়েছে বিজেপি। এত দিন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) ক্যাটাগরিতে নিরাপত্তা পেতেন। তার বদলে এখন থেকে শুধু জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পাবেন তারা। শুক্রবার রাতে গান্ধী পরিবারকে দেওয়া বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

এনডিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছে কংগ্রেসে নেতাকর্মীরা।

এক কংগ্রেস কর্মী নিরাপত্তা কমিয়ে দেওয়া নিয়ে বলেন, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর জীবন নিয়ে খেলা করা হচ্ছে। কীসের ভিত্তিতে তারা এটা করল।

১৯৯১ সালে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি হত্যার পর থেকেই এসপিজি নিরাপত্তা বলয় পান তারা।

গান্ধি পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, তাদের এ বিষয়ে জানানো হয়নি। গণমাধ্যমের খবর থেকে তারা এসপিজি তুলে নেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছেন। জেড প্লাস নিরাপত্তা বলয়ের অর্থ গান্ধী পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সঙ্গে থাকবেন কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের ১০০ জন জওয়ান।

এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, এসপিজি নিরাপত্তার আওতায় যারা রয়েছেন, প্রতিবছরই তাদের ওপর হামলার আশঙ্কা কতটা রয়েছে, তা পর্যালোচনা করে দেখা হয়। গান্ধী পরিবারের ওপর হামলার আশঙ্কা অনেকটাই কমে গেছে বলে সম্প্রতি দেখা গেছে। তাই এসপিজি নিরাপত্তার বদলে অন্য বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, ‘বিজেপি তাদের ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। জঙ্গি হানা ও হিংসা থেকে দুইজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের জীবনের বিষয়ে তারা আপস করছে।’

আততায়ীদের হাতে ইন্দিরা গান্ধী খুন হওয়ার পর ১৯৮৫ সালে বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনীর ৩০০০ জওয়ান নিয়ে গঠিত হয় এসপিজি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে। ১৯৯১ সালে গান্ধী পরিবার থেকেই আবার রাজীব গান্ধীর খুন হলে বদল আনা হয় ওই আইনে।

ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্যও এসপিজি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। ২০০৩ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে আবার ওই আইনে বদল ঘটিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের ক্ষেত্রে এসপিজি নিরাপত্তার মেয়াদ ১০ থেকে কমিয়ে ১ বছর করা হয়। তবে হামলার আশঙ্কা পর্যালোচনা করে বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থাও রাখা রাখা হয় সেই সময়।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: