পশ্চিম তীর দখলের বিল ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার জন্য হুমকি : রুবিও

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর অঞ্চলের দুই এলাকা জুদেয়া ও সামারিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে গতকাল ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে যে বিল পাস হয়েছে—সেটিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘গাজা শান্তি পরিকল্পনার জন্য হুমকি’ বলে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এ তথ্য জানিয়েছেন।

গতকাল ওয়াশিংটন থেকে ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রুবিও। বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করার সময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “তারা (ইসরায়েল) নেসেটে একটি বিল পাস করেছে, কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে আমাদের পক্ষ থেকে এই বিলকে কোনো সমর্থন দেওয়া হবে না। কারণ আমরা মনে করি, এই বিলটিকে গাজায় শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছি।”

রুবিও আরও বলেন, “বিলটি গণতান্ত্রিক প্রকিয়াতেই আনা হয়েছে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। গণতন্ত্রে জনগণ ভোট দেয়, পার্লামেন্টে বিল উত্থাপন হয় এবং এমপিদের ভোটের ভিত্তিতে সেই বিল পাসও হয়…তবে এই মুহূর্তে এ ধরনের গণতন্ত্রের চর্চা করা হলে তার ফলাফল হবে উল্টো।”

১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় জুদেয়া ও সামারিয়া দখল করেছিল ইসরায়েল। তার পর থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিম তীরের এই দুই ভূখণ্ড ইসরায়েলের দখলেই আছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, গতকাল বুধবার বিলটি উত্থাপনের পর ১২০ আসনের নেসেটে বিলটির পক্ষে ভোট পড়েছে ২৫টি, বিপক্ষে ২৪টি। বাকি ৫১ জন ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন।

আরও জানা গেছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার দল লিকুদ পার্টির এমপিরা বিলটির বিরোধিতা করেছেন। তবে লিকুদ পার্টির নেৃতত্বাধীন জোট সরকারের কয়েক জন শরিক বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা প্রস্তাবনা আকারে পেশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েল ও গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস সে পরিকল্পনায় সায় দেওয়ার পর ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় গাজা।

যুদ্ধবিরতির পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় বড় ধরনের কোনো গন্ডগোল বা সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি।

সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা পুলিশ হেফাজতে প্রাণ হারালেন Dec 08, 2025
img
এবার হায়দরাবাদে ‘বাবরি মসজিদ স্মারক’ নির্মাণের পথে মুসলিম সংগঠন! Dec 08, 2025
img
ভারত থেকে এলো ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ Dec 07, 2025
img
আমি বাংলাদেশে ফিরে যাব: সাকিব Dec 07, 2025
মক্কায় বয়স্কদের তাওয়াফে যে সুবিধা! Dec 07, 2025
img
বিপিএল মাতাতে আসছেন রমিজ রাজা ও ওয়াকার ইউনুস Dec 07, 2025
img
এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার Dec 07, 2025
img
‘ধুরন্ধর’ ছবির সঙ্গে কোথায় ‘উরি'র মিল পাচ্ছেন দর্শকরা? Dec 07, 2025
img
অনলাইনে ঝড় তুলল অক্ষয়ের 'কেসরি চ্যাপ্টার ২' Dec 07, 2025
img
চা ফ্যাক্টরি থেকে ওয়্যারহাউজে যাওয়ার পথে চায়ের গাড়িকে ভূতে ধরে, হাওয়া হয়ে যায়: চা বোর্ডের চেয়ারম্যান Dec 07, 2025
img
এবার আরিয়ান বিতর্কে মুখ খুললেন কর্নাটকের মন্ত্রীর ছেলে Dec 07, 2025
img
ছোট্ট আরাধ্যাও হয়ে উঠেছিল কানের তারকা! Dec 07, 2025
img
প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষকের পদোন্নতির বিষয়ে মুখ খুললেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা Dec 07, 2025
img
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে থাই রাষ্ট্রদূতের বৈঠক Dec 07, 2025
img
প্রথম ছবির পরেই তিরিশ হাজার বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন হৃতিক Dec 07, 2025
img
আরএমপির ১২ থানার ওসিকে বদলি Dec 07, 2025
img
না ফেরার দেশে লিভারপুলের সাবেক মালিক 'হিকস' Dec 07, 2025
img
তবে কি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন নেতানিয়াহু? Dec 07, 2025
img
শ্রীলঙ্কাকে ৭৮ রানে হারিয়ে দাপুটে জয় বাংলাদেশের Dec 07, 2025
আইএল টি-টুয়েন্টিতে মোস্তাফিজের রঙিন অভিষেক Dec 07, 2025