বলিউডে নিজের পরিচয় তৈরি করা রণবীর কাপূর কখনোই সহজ ছিল না। ঋষি কাপূরের পুত্র হওয়া সত্ত্বেও তিনি নিজের যোগ্যতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে আলাদা জায়গা তৈরি করেছেন। তবে এই পথ সহজ ছিল না—প্রাথমিক সময়ে রণবীর বিদেশি ছবিতে বেশি মনোনিবেশ করতেন, যা নিয়ে পিতা ঋষি বারবার তাকে পরামর্শ দিতেন। ঋষি চাইতেন, ভারতীয় ছবিতে মন দিলে রণবীর আরও সফল হবেন। পরিচালক সুভাষ ঘাই জানিয়েছেন, বাবা ও ছেলের মধ্যে প্রাথমিক সময়ে নানা পার্থক্য ও মতবিরোধ দেখা যেত। একাধিকবার তাঁরা তর্কও করেছেন।
সুভাষ ঘাই জানিয়েছেন, “নিউ ইয়র্ক থেকে ছবির প্রশিক্ষণ নিয়ে ফেরার পর রণবীর ও ঋষির মধ্যে বহু বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা যেত। রণবীর প্রাথমিকভাবে কিছু বলতে পারত না, পরে নীতুর কাছে গিয়ে নালিশ করত। তবে আজ তিনি এক নম্বর অভিনেতা। দুর্ভাগ্যবশত এই সাফল্য দেখার জন্য তাঁর বাবা নেই।”
বিয়ের পরে রণবীরের জীবন ও মনোভাব বদলে গেছে। পরিচালক জানান, “ও জীবনকে আরও গভীরভাবে বোঝে। এখনও বড়দের শ্রদ্ধা করে, পা ছুঁয়ে প্রণাম করে। বিয়ের পর ও আরও পরিণত হয়েছে। সবসময় সাদা মনের ও মন ভালো রাখে।” আলিয়া ভাটের সঙ্গে বিয়ের পর রণবীর যেন একটি নতুন পরিণত অধ্যায় শুরু করেছেন, যেখানে পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবন দুটোই সুশৃঙ্খল।
এইভাবে রণবীর কাপূর প্রমাণ করেছেন, পরিবার ও পেশা—উভয় ক্ষেত্রেই শ্রদ্ধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবনকে সমৃদ্ধ করা সম্ভব।
আরপি/এসএন