উখিয়া-টেকনাফবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করব : আব্দুল্লাহ

কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক ও কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে তরুণ, ত্যাগী ও জনবান্ধব নেতৃত্বের মাধ্যমে উখিয়া-টেকনাফের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করব ইনশাআল্লাহ।’

তিনি আরো বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে উখিয়া-টেকনাফের জনগণ মুক্ত হতে চায়। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ধানের শীষে ভোট দিলে উখিয়া-টেকনাফে বৈধ ব্যবসা উন্মুক্ত করা হবে, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। আগামী দিনে এই এলাকা শান্তিনগরীতে পরিণত হবে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে টেকনাফ বাস স্টেশনের ঝর্ণা চত্বরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুল্লাহ আরো বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এমপি আব্দুর রহমান বদি ও জাফর চেয়ারম্যান গং ১৭ বছর ধরে উখিয়া-টেকনাফের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। তারা বৈধ ব্যবসা বন্ধ রেখে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছিল। আমি বিএনপির ত্যাগী নেতা হিসেবে প্রতিবাদ করায় অর্ধশতাধিক মামলার শিকার হয়েছি।

এমনকি আমাকে হত্যা করতে না পেরে আমার শিশুসন্তান আলী উল্লাহকে হত্যা করেছে। তবু আমি জনগণকে ছেড়ে যাইনি।’

তিনি বলেন, ‘আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে শান্তি ও উন্নয়ন ফিরিয়ে আনব ইনশাআল্লাহ।’

আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সোলতান আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘উখিয়া-টেকনাফের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। যারা বঞ্চিত করেছে তারা আবারও ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে। আমি তারেক রহমানকে আহ্বান জানাই—উখিয়া-টেকনাফের জনগণ তরুণ, ত্যাগী নেতাকে ধানের শীষ প্রতীক দিতে চায়। তাদের এই আশাকে ফিরিয়ে দেবেন না।’

টেকনাফ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সোলতান আহমেদ বিএ, সাবেক পৌর মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি নূর নবী, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আইকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ Oct 29, 2025
img
ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমতে পারে ৩ ডিগ্রি Oct 29, 2025
img
জাবিতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদে জাকসুর বিক্ষোভ Oct 29, 2025
img
সন্তানের আগে কিছুই নয়, আবেগঘন মন্তব্য জয়া বচ্চনের Oct 29, 2025
img
অতিথি আপ্যায়নে যেসব ভুল এড়ানো উচিত Oct 29, 2025
শহীদদের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শিবির সভাপতি Oct 29, 2025
চরফ্যাশন এরিয়ায় সিগনালে লঞ্চ বন্ধ রাখার কারণ জানালেন নৌ-উপদেষ্টা Oct 29, 2025
img
প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরে পেলেন বিএনপি নেতা ছাবির চৌধুরী Oct 29, 2025
যে কারণে দুইবার ধন্যবাদ দিলেন সালাহউদ্দিন Oct 29, 2025
জাতীয় নির্বাচনের দিন বা আগে’ গণভোট করার সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের Oct 29, 2025
বাংলাদেশের টুর্নামেন্টের স্বপ্ন ভেঙে শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজয়! | Oct 29, 2025
img
মুম্বাইতে স্থায়ীভাবে থাকব না, লাইফস্টাইল আমাদের সঙ্গে মিলবে না: শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় Oct 29, 2025
img
আঞ্চলিক একক মুদ্রা চালুর প্রস্তাব ইরানের Oct 29, 2025
img
ভালোবাসলে এক বুক সমুদ্র নিয়ে ভালোবাসো: হুমায়ুন ফরীদি Oct 29, 2025
img

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজ

চট্টগ্রামে ১ম ম্যাচের টিকিট বিক্রি থেকে আয় ৩৫ লাখ টাকা Oct 29, 2025
img
আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন দুই টাইগ্রেস ব্যাটার মোস্তারী-ফারজানা Oct 29, 2025
img
চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেয়েও ফিক্সিংয়ে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করবে না বিসিবি Oct 29, 2025
img
বিপিএলে স্বার্থের সংঘাত এড়াতে কঠিন সিদ্ধান্ত বিসিবির Oct 29, 2025
img
উইকিপিডিয়ার বিকল্প গ্রোকিপিডিয়া চালু করলেন ইলন মাস্ক Oct 29, 2025
img
আমি কোনো পুরুষের ট্যাগ নই, নারীর আত্মমর্যাদার ইশতেহার: পারভিন ববি Oct 29, 2025