দেশে বৈদেশিক ঋণের প্রবাহ বেড়েছে বড় ব্যবধানে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে ৮৮ কোটি ৩২ লাখ ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ হাজার ২২২ শতাংশ বেশি। এ সময়ে অর্থছাড় বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ। একই সময়ে বেড়েছে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ।
উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিদেশি ঋণনির্ভর প্রকল্পগুলোতে বেড়েছে অর্থছাড় ও প্রতিশ্রুতি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ তথ্য বলছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে ৯১ কোটি ৬ লাখ ডলার।
এর মধ্যে ঋণ রয়েছে ৮২ কোটি ১৭ লাখ আর অনুদান ৮ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে শুধু প্রতিশ্রুতি এসেছিল মাত্র ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলার।
বেড়েছে অর্থছাড়ের পরিমাণও। এই সময়ে উন্নয়ন সহযোগীরা ছাড় করেছে ১১৪ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫.৭ শতাংশ বেশি।
গত প্রান্তিকে যেমন বেড়েছে ঋণের প্রতিশ্রুতি-অর্থছাড়, তেমনি বছর ব্যবধানে বেড়েছে সাড়ে ১৩ শতাংশ বেড়েছে বিদেশি ঋণ পরিশোধ ব্যয়। এ সময়ে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে ১২৭ কোটি ৯৯ লাখ ডলার। এর মধ্যে আসল ৮১ কোটি ৬৮ লাখ ও সুদ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ৪৬ কোটি ২৯ লাখ ডলার।
ইআরডির তথ্য, গত বছরের প্রথম তিন মাসে খাদ্য সহায়তা বাবদ ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার মিললেও চলতি বছরে এসেছে ১ কোটি ডলার।
এমকে/এসএন