আশির দশকের আলোঝলমলে বাংলা চলচ্চিত্রজগত তখন বদলের দোরগোড়ায়। হলগুলোতে লেগে থাকত তারকাদের গ্ল্যামার, আবার সেই গ্ল্যামারের আড়ালেও ছিল কঠোর অনুশীলনের জগৎ। সেই সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা শতাব্দী রায় ফিরে তাকিয়ে বললেন, তখন হিরোইন হতে চাইলে শুধু পর্দায় সুন্দর দেখালেই চলত না; নাচ, গান থেকে শুরু করে অ্যাকশন— সব ক্ষেত্রেই দক্ষতা দেখাতে হতো।
তার ভাষায়, নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে হলে তখনকার দিনে প্রতিটি কাজে নিজেকে প্রমাণ করতে হতো। নাচের স্টেপ ঠিক না হলে কয় ঘণ্টা ধরে রিহার্সাল, গান শোনার পর তাল মিলিয়ে অভিব্যক্তি ঠিক রাখা, আবার প্রয়োজনে ফাইট দৃশ্যেও দাপট দেখানো- সব মিলিয়ে অভিনয় ছিল সার্বিক দক্ষতার পরীক্ষা।
শতাব্দী রায়ের এই স্মৃতিচারণে যেন ভেসে ওঠে এক সময়ের চলচ্চিত্রশিল্পের পুরো ফুটেজ- যেখানে শিল্পীদের পরিশ্রম, অধ্যবসায় আর নিজেদের নতুনভাবে গড়ে তোলার গল্পই ছিল সাফল্যের প্রধান চালিকা শক্তি। আজকের প্রজন্মের অভিনেত্রীরা যেখানে বাক্সবন্দী দক্ষতার বাইরে নানা প্রশিক্ষণের সুযোগ পান, সেখানে আশির দশকের নায়িকারা নিজেরাই নিজেদের প্রতিদিন গড়ে তুলতেন নতুন করে।
তাঁর মন্তব্য যেন নতুন করে মনে করিয়ে দেয়, সেই সময়কার সিনেমা-নির্ভর তারকাদের ব্যক্তিত্ব তৈরি হতো পরিশ্রমে, শৃঙ্খলায় আর নিজের কাজের প্রতি অগাধ ভালোবাসায়। সেই সময়ের রূপালি পর্দার পেছনের গল্পগুলো তাই আরও মূল্যবান হয়ে ওঠে আজকের দর্শকের চোখে।
কেএন/টিকে