কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে পিচ নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল। নিজেদের পাতা ফাঁদে নিজেরাই পড়েছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৩০ রানে হারের পর সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া এড়াতে গুয়াহাটিতে নেমেছে তারা। বর্ষাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমবার টেস্ট হলেও এখানকার পিচ নিয়ে কোনো বিতর্ক ওঠেনি।
ভারসাম্যপূর্ণ পিচেই হয়েছে খেলা। ব্যাটাররা বড় ধরনের ভুল না করলে উইকেট হারায়নি। বোলাররাও পেয়েছে সুবিধা। প্রোটিয়া ব্যাটারদের বাধ্য করেছে ভুল শট খেলতে। প্রথম দুই সেশনে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতিরোধ গড়লেও শেষ বিকেলে ভারতকে লড়াইয়ে ফেরাল বোলাররা।
টস জিতে ব্যাটিং নেন টেম্বা বাভুমা। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। এইডেন মারক্রাম ও রায়ান রিকেলটন ওপেনিংয়ে দারুণ শুরু এনে দেন। এই জুটি ভাঙেন জসপ্রীত বুমরাহ। ৮১ বলে ৩৮ রানে বোল্ড হন মারক্রাম। সঙ্গে সঙ্গে লাঞ্চ ঘোষণা করেন আম্পায়ার।
বিরতি থেকে ফিরেই রিকেলটন আউট। কুলদীপ যাদব তাকে ফেরান ৩৫ রানে। এরপর বাভুমা ও ট্রিস্টান স্টাবস দ্বিতীয় সেশন শেষ করেন। ২ উইকেটে ১৫৬ রানে চা বিরতিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
শেষ সেশনের তৃতীয় ওভারে বাভুমা থামেন রবীন্দ্র জাদেজার বলে। ৯২ বলে ৪১ রান করেন তিনি। ৮৪ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন হয়।
প্রথম দুই সেশনে একটি করে উইকেট নেওয়া ভারত শেষ সেশনে চার উইকেট তুলে নেয়। বাভুমাকে হারিয়ে স্টাবসও একই পথে হাঁটেন। ফিফটি থেকে এক রান দূরে থাকতে কুলদীপের শিকার হন তিনি।
উইয়ান মুল্ডার (১৩) ভালো করতে পারেননি। সেনুরান মুথুস্যামির সঙ্গে টনি ডি জর্জি ৪৫ রানের জুটি গড়েন। ৫৯ বলে ২৮ রান করেন থামেন জর্জি।
মুথুসামি ২৫ ও কাইল ভেরেইন্নে ১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ২৪৬ রানে ৬ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
আলোর স্বল্পতার কারণে ৮২তম ওভারও শেষ করতে পারেনি ভারত। ২৪৭ রানে দিন শেষ করে প্রোটিয়ারা।
কুলদীপ ৪৮ রান খরচায় তিন উইকেট নেন।
টিজে/টিকে