তাদের মতামত হল– ভূমিকম্প পরবর্তী আবাসিক হলগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সামগ্রিক ঝুঁকি মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার। এই ঝুঁকি নিরূপণ ও সম্ভাব্য সংস্কারের স্বার্থে আবাসিক হলগুলো খালি করা প্রয়োজন। এ কারণে সভায় আগামী শনিবার (৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখা এবং আবাসিক হলসমূহ খালি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টার মধ্যে আবাসিক হলসমূহ খালি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সভায় প্রাধ্যক্ষদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ যথারীতি খোলা থাকবে।
এর আগে ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম এক ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাদিক কায়েম বলেন, “পরপর দুইদিন ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর কথা মাথায় রেখে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কনসার্নগুলো আমরা মাননীয় ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার স্যারদের অবগত করি।”
তিনি বলেন, “এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরি এসএমটি এবং সিন্ডিকেট মিটিং আহ্বান করেন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মিটিংয়ে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব হলের প্রতিটি কক্ষে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ডাকসুর ভিপি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ভূমিকম্প পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে।”
ইউটি/টিএ