ছয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে বলিউডে শক্তি ও চেহারার অনন্য মিশেল দেখিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ধর্মেন্দ্র। ‘ফুল অউর পাত্থর’-এর মাধ্যমে স্থায়ী অবস্থান তৈরি করে, পরবর্তী দশক জুড়ে ‘জয়-বীরু’ জুটিসহ অসংখ্য হিট ছবিতে অভিনয় করে তিনি হয়ে ওঠেন বলিউডের অবিসংবাদী নায়ক। শোলে ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের পাশে মূল পারিশ্রমিক পাওয়া ও হিট ছবি ধারাবাহিকভাবে দেওয়ার মাধ্যমে তার সাফল্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে।
ধর্মেন্দ্রর কেরিয়ার শুরু ১৯৬০ সালে হলেও প্রথম বড় সাফল্য আসে ১৯৬৬ সালে ‘ফুল অউর পাত্থর’ ছবির মাধ্যমে। এরপর একের পর এক হিট ছবি, যেমন ‘অনুপমা’, ‘সত্যকাম’, ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’, ‘সীতা অউর গীতা’, ‘সমাধি’, ‘জুগনু’, ‘ইয়াদো কি বারাত’ – সব মিলিয়ে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি বলিউডে প্রাসঙ্গিক থাকেন।
তাঁর শক্তিশালী কেরিয়ারকে ক্রিকেটের দুনিয়ার তুলনায় ‘ধর্মেন্দ্র হলেন বলিউডের দ্রাবিড়’ বলা যায়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ধর্মেন্দ্রের ৭৪টি হিট ছবি রয়েছে, যা অনেক বড় তারকাদের চেয়ে বেশি। তাঁর দীর্ঘদেহী উপস্থিতি, শক্তিশালী অভিনয় এবং নায়কের চরিত্রে ধারা অব্যাহত রাখা তাঁকে ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ হিসেবে গড়ে তোলে।
শুধু অভিনয় নয়, ধর্মেন্দ্রের সিনেমার বাজারে চাহিদা টাকার অঙ্কে কষা যায় না। তাঁর নামেই টিকিট বিক্রি হত। অমিতাভ, রাজেশ খান্না, মিঠুন থেকে অনিল কাপুরদের সঙ্গে টক্কর দিয়েও তিনি সমানভাবে সফল ছিলেন। শোলে ছবিতে ‘গব্বর সিং’ চরিত্রে ঘোড়ার উপর বসে ক্রোধপূর্ণ সীনে দর্শকদের মনোযোগ কাড়ার মতো প্রতিভা ছিল তাঁর। বলিউডে দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়িত্ব, প্রাসঙ্গিকতা এবং জনপ্রিয়তার মেলবন্ধনে ধর্মেন্দ্র আজও একজন কিংবদন্তি হিসেবে স্মরণীয়।
এমকে/এসএন