নির্মাতা শাফায়েত মনসুর রানা অনেক দিন ধরেই আড়ালে রেখেছেন নিজেকে। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দূরদেশ অস্ট্রেলিয়ায়। মূলত উচ্চশিক্ষার জন্যই দেশটিতে অবস্থান করছেন তিনি। তার ফাঁকে নির্মাণ করে নিলেন নিজের প্রথম এআই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাইন্ড ইট’।
সিনেমাটি এরমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম এআই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ‘ডিএআইএফএফ’-এ অফিশিয়াল সিলেকশন পেয়েছে। এ উৎসবের মূল ভাবনা-মানুষ ও প্রযুক্তির সৃজনশীল সৃষ্টিকে উদযাপন করা।
শফায়েত মনসুর রানা তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, পিএইচডি করার সময় তিনি বুঝতে পারেন-সৃজনশীলতার প্রতি তার সহজাত টান যেন হারিয়ে যাচ্ছে! সেই শূন্যতা থেকেই জন্ম নেয় ‘মাইন্ড ইট’। তার ভাষায়, ‘এই ছবিটাই আমাকে আবার শ্বাস নিতে সাহায্য করেছে। আর এখন সেই শ্বাস অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম পর্দায় পৌঁছাবে-এটা ভীষণ তৃপ্তির।’
বাংলাদেশ থেকে যাত্রা শুরু করে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে চলচ্চিত্র ও জেনারেটিভ এআই স্টোরিটেলিংয়ে কাজ করার এ অর্জনকে তিনি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন। কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রানা বলেন, ‘এ ছবির সম্পাদনায় যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে কাজ করার জন্য রেজাউল রাজুকে ধন্যবাদ, দূর থেকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য এস এম নাঈম হোসাইন, সাউন্ডস্কেপ গড়ে তোলার জন্য রিপন নাথ, আর ছবিটির প্রথম দর্শক হয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য নাফ তোমাদের সমর্থন আমার কাছে অপরিসীম।’
শেষে তিনি যোগ করেন, ‘আজ আমি আবার আমার হৃদয়টাকে সত্যিই অনুভব করছি।’
বলা দরকার, ২৬ নভেম্বর মেলবোর্নে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে ‘মাইন্ড ইট’ বয়ে আনতে পারে বাংলাদেশের জন্য সম্মানজনক স্বীকৃতিও।
এমকে/এসএন