বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র দেওল ছিলেন শুধুমাত্র শক্তিশালী ‘হি-ম্যান’ বা অ্যাকশন নায়কই নয়, তিনি ছিলেন বিনয়ী, নম্র ও উদার হৃদয়ের মানুষ। টোটা রায়চৌধুরী সম্প্রতি তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলেন, তিনি একেবারেই উদার মানুষ ছিলেন এবং নিজের সুদীর্ঘ অভিনয়জীবনেও বিনয়ীতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে সব কাজে অবদান রেখেছেন।
টোটা রায়চৌধুরী বলেন, কর্ণ জোহরের ‘রকি ঔর রানি কি প্রেমকহানি’ ছবিতে তাঁকে প্রথম দেখার সময় তিনি পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু ধর্মেন্দ্র নিজেই হাতে ধরে নরম কণ্ঠে বলেছিলেন, “পা হাত দিয়ো না কারও। জোড়হাতে নমস্কার জানাও।” এই আচরণই প্রমাণ করে তার মানবিক দিক এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক।
ধর্মেন্দ্র প্রকাশ্যে বলেছেন, তিনি তার ‘অভিনেতা’ পরিচয় বহু বাঙালি পরিচালকেরা যেমন হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়, অসিত সেন, এবং নায়িকারা যেমন সুচিত্রা সেন, শর্মিলা ঠাকুর, জয়া বচ্চন, রাখি গুলজারদের সঙ্গে কাজ করে অর্জন করেছেন। তিনি নিজেকে বাংলার কাছে ঋণী মনে করতেন।
টোটা রায়চৌধুরী স্মরণ করেন, শটের সময় যখন তার উপস্থিতি প্রয়োজন হতো, তিনি বিনীতভাবে পরামর্শ দিতেন এবং নিজের অভিনয়ের খিদে কখনও কমাতে দিতেন না। তার অভিনয়ের পেশাদারিত্ব, নম্রতা ও দৃঢ় মনোভাব অন্যদের জন্যও অনুপ্রেরণা ছিল। বিশেষ করে ‘রকি ঔর রানি’ ছবিতে শাবানা আজমির সঙ্গে তার চুম্বনদৃশ্য ছিল দর্শকপ্রিয় এবং চলচ্চিত্রের নান্দনিকতার একটি উদাহরণ। ধর্মেন্দ্রের রোম্যান্টিক দৃশ্যের আবেদনও ছিল অনন্য এবং তার কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীতের মতো রোম্যান্টিক গানও দর্শকদের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছে।
ধর্মেন্দ্র শুধুমাত্র পর্দার নায়কই ছিলেন না, তিনি ছিলেন উদার, বিনীত ও প্রামাণিক মানুষ, যার মানবিকতা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতা সবার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এমকে/এসএন