আমাদের দেহের সমস্ত অঙ্গগুলির মধ্যে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক বা অন্ত্র সবচেয়ে অবহেলিত। অথচ এটি দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ, যা বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বিকাশ থেকে শুরু করে রোগ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে এবং সর্বোত্তম মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্বাস্থ্যকর মানবদেহে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট (জিআই) বা অন্ত্র কোটি কোটি অণুজীব, উপকারী ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক প্রভৃতিকে আশ্রয় দিয়ে একটি ‘মাইক্রো-বায়োম’ সিস্টেম তৈরি করে। দেহের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে এর শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। এটি অভ্যন্তরীণ শারীরিক প্রদাহ হ্রাস করে এবং ক্যান্সার, হাঁপানি ও অন্যান্য অটো-ইমিউন ডিজঅর্ডার সমূহকে বাধা দেয়। এটি ক্ষুধামন্দা থেকে আমাদের রক্ষা করে। স্বাস্থ্যকর ত্বক ও চুলের বিকাশ ঘটাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর ভাবে সহায়তা করে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশ কয়েকটি অভ্যাস স্বাস্থ্যকর অন্ত্র বজায় রাখার পক্ষে হুমকি স্বরূপ। আর সেগুলো হলো-
চলুন জেনে নিই, অন্ত্রের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে কিছু সহায়ক পরামর্শ-
নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন
আমরা প্রতিদিনের ভিত্তিতে যেভাবে জীবনযাপন করি তা আমাদের সামগ্রিক শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকই আদর্শ জীবনযাপনের নিয়মগুলো মেনে চলি না। ফলে অন্ত্রসহ দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নানা জটিলতায় আক্রান্ত হয়।
সুস্থতার জন্য পেশাগত কাজ, অবসর, অনুশীলন এবং মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরতি, শিথিল হওয়ার সময় প্রভৃতির জন্য রুটিন মাফিক জীবন পরিচালনা করা উচিৎ। আমাদের সমস্ত কর্মকাণ্ডের সময়সূচী বজায় রাখার মতো সহজ পদক্ষেপ অন্ত্রের জটিলতা সমূহ হ্রাস করতে সাহায্য করবে এবং স্বাস্থ্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা অর্জন করতে সহায়ক হবে।
পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুমের অভাব আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পুরোপুরি বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। কাজের পাশাপাশি পারিবারিক দায়বদ্ধতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত ঘুম থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখলে দেহের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। ঘুমের অভাব আমাদের অন্ত্রের কার্যক্রম ব্যাহত করে। তাই প্রতি রাতে কমপক্ষে সাত ঘণ্টা ঘুমানো উচিৎ।
পুষ্টিকর খাদ্য
স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা। রেডিমেড বা জাঙ্ক ফুড বা প্রক্রিয়াজাত খাবারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা অন্ত্রের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
তাজা ফল, শাকসবজি, মাছ, সামুদ্রিক খাবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার প্রভৃতি আমাদের অন্ত্রের মাইক্রো-বায়োমের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
আর্থ-সামাজিক অবস্থা, পেশা, বয়স ইত্যাদি নির্বিশেষে মানসিক চাপ প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে একটি সাধারণ দিক। দীর্ঘদিন যাবত অতিরিক্ত মানসিক চাপে ভুগলে তা আমাদের অন্ত্রের জন্য ক্ষতির কারণ হয়। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে- হালকা শরীরচর্চা, সংক্ষিপ্ত মননশীল ধ্যান, প্রতিদিনের ব্যস্ততার পরে সক্রিয় সামাজিকীকরণ প্রভৃতি কার্যকর।
অন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন-
টাইমস/এনজে/জিএস