ভেনেজুয়েলা উপকূলে মাদকবিরোধী অভিযানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট। তিনি জানান, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন বাহিনী ২০টির বেশি নৌকা ডুবিয়েছে, এতে কমপক্ষে ৮০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। ওয়াশিংটনের দাবি, এসব হামলা মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে চালানো হচ্ছে।
মার্কিন সরকার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা উপকূলে মাদকবিরোধী অভিযান আগের মতোই অব্যাহত থাকবে। এই অভিযানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।
হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, অভিযান চলমান থাকবে।
এর আগে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ঘোষণা করেছেন, কার্টেল দে লস সোলেসকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মার্কিন সরকারের অভিযোগ, এই নেটওয়ার্কে রয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাঠানোর সঙ্গে যুক্ত। তবে এসব অভিযোগের কোনো স্বাধীন প্রমাণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
এমন অভিযোগকে হাস্যকর ও অস্তিত্বহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ভেনেজুয়েলা সরকার। ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ বলেন, মাদক বাণিজ্যের মূল রুট ইকুয়েডর হলেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে ভেনেজুয়েলাকে নিশানা বানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মাদুরোও এটিকে ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে সতর্কতা ও সামরিক মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপ বাড়তে থাকায় নতুন ধাপের অভিযানের গুঞ্জন আরও জোরালো হচ্ছে। পুয়ের্তো রিকোর রুজভেল্ট রোডস ঘাঁটিতে বিমান জড়ো করা এবং সম্প্রতি সেনা মোতায়েন সংকেত দিচ্ছে সম্ভাব্য বড় ধরনের পদক্ষেপের।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা এলেও সামরিক পদক্ষেপের অনুমতি নেই। তবুও পেন্টাগন বলছে, এতে নতুন সব বিকল্প খোলা হয়েছে।
আইকে/টিএ