বন্দর লিজ দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয় : মাসুদ কামাল

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, বন্দর নিয়ে যে চুক্তি এটা জি-টু-জি, ডিসক্লোজ করা যাবে না এ সমস্ত ফালতু কথা বলে কোনো লাভ নাই। জি-টু-জি কি আপনি ডেনমার্ক এবং সুইজারের সঙ্গে চুক্তি করছেন? আপনি কি গভমেন্টের সঙ্গে করছেন, নাকি ওখানকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করছেন? আপনি বেসরকারি কম্পানির সঙ্গে করছেন। কম্পানির সঙ্গে করা চুক্তি জি-টু-জি হয় কিভাবে? আমাদেরকে হাইকোর্ট দেখাচ্ছেন আপনি, হাইকোর্ট দেখাবেন না।

আজকে আমি যে আলোচনাটা করব এটা মূলত তারেক রহমানকে নিয়ে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের দেশে নেই, ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন। লন্ডনে আছেন।ওখান থেকে তিনি বিএনপিকে দল হিসেবে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন এবং পরিচালনা করছেন। উনার সম্পর্কে আরেকটা তথ্য হলো শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর এর মধ্যে প্রায় এক বছর তিন মাস হয়ে গেছে।

কিন্তু এখনো উনি দেশে আসেননি। ওখান থেকে উনি নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় বক্তব্য দিয়ে থাকেন এবং সেই বক্তব্য একদম গ্রামেগঞ্জে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পর্যন্ত চলে যায়।

মাসুদ কামাল বলেন, তারেক রহমান একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে তৃণমূল পর্যায়ের অনেক সভাতেও অনলাইনে যুক্ত হন এবং মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এটা একটা নতুন ধারার রাজনীতি আমাদের দেশে বলা যায় উনার মাধ্যমে চলছে।

এটা নিয়ে প্রশংসা আছে, সমালোচনা আছে। আমি নিজেও বহুবার উনার সমালোচনা করেছি। আজকে আমি যে কথাটা বলব এর আগেও উনার একটা বিষয় নিয়ে আমি কথা বলেছি। সেটা হলো যে এই যে গণভোট ও সমস্ত রাজনৈতিক যে সমস্ত এজেন্ডা বিভিন্ন দলের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তার বিপরীতে উনি বলেছেন যে কৃষকরা যে আলুর দাম পাচ্ছে না। এই বিষয়টা কিন্তু উনি তুলে এনেছিলেন উনার একটা বক্তব্যে।

সেটা নিয়ে অনেকে অনেক রকম ট্রল করেছে বাট আমি এটাকে প্রশংসা করেছি আমি মনে করি একটা পলিটিক্যাল লিডারের বক্তব্য এরকম গণমুখী হওয়া উচিত।

আজকে আমি যে প্রসঙ্গটা কথা বলব এটা এটা হচ্ছে উনি উনার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এখন থেকে প্রায় ২২/২৩ ঘণ্টা আগে একটা পোস্ট দিয়েছেন এবং এই পোস্টটা উনি ইংরেজিতে লিখেছেন উনার পোস্ট সাধারণত আমি যতগুলি দেখি প্রায় এগুলি বাংলায়ও পাই ইংরেজিতেও পাই, বাট এটা উনি ইংরেজিতে লিখেছেন এবং বেশ বড় একটা পোস্ট।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মাসুদ কামাল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি হিসেব করে দেখলাম প্রায় ৭২১ শব্দের এই পোস্টটা। ৭২১ শব্দে সাধারণত একটা দৈনিক পত্রিকা পোস্ট এডিটোরিয়াল ৭২১ শব্দের মধ্যে হয়ে যায়। সেই হিসেবে বলতে গেলে উনি একটু পোস্ট এডিটরিয়াল লিখেছেন এবং লেখাটা অত্যন্ত ঝরঝরে আমি নিজে পুরোটাই পড়েছি এবং উনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে দুটো ইস্যুকে তুলে এনেছেন। এই দুটো ইস্যু হলো একটা হলো বিভিন্ন বন্দরগুলোকে বিদেশিদের কাছে লিজ দিয়ে দেওয়া। আরেকটা হলো এলডিসি থেকে উচ্চতর পর্যায়ে উত্তরণের জন্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা নিয়ে এবং এই দুই ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তের উনি বিরোধিতা করেছেন।

সরকারের সিদ্ধান্তটা হলো- সরকারের সিদ্ধান্তগুলো আমি বলি যেমন- উনারা অলরেডি দুইটা পোর্ট তড়িঘড়ি করে দুইটা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে দিয়েছেন, কি শর্তে দিয়েছেন। এখানে আমাদের কি লাভ, কি ক্ষতি, আমাদের কি ঝুঁকি, এগুলো নিয়ে কোনো রকম কেউ জানে না এবং আশিক চৌধুরী সাহেব বিডার চেয়ারম্যান। উনি বলেছেন, এগুলো নাকি নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট আমার পোর্ট আরেকজনকে বিদেশি কম্পানিকে আপনি দিবেন। সেটাতে আমরা কি পাব, লাভজনক হবে না লস হবে। এটা জানার অধিকার আমাদের জনগণের নাই। উনি করবেন উনার সে এখতিয়ার আছে, এটা কি স্বৈরাচারী এখতিয়ার। 

নাকি প্রশাসনিক এখতিয়ার, নাকি গণতান্ত্রিক এখতিয়ার এটাও প্রশ্ন আমরা করতে পারব না। উনি দিবেন আবার উনি আবার এই দেশের নাগরিকও না। কিন্তু উনি দ্বৈত নাগরিক। উনি অর্ধেক এই দেশের নাগরিক আর অর্ধেক হল যুক্তরাজ্যের নাগরিক। উনি এই কাজ শেষ করার পরে যখন সরকারের পতন হবে অথবা চলে যাবেন তখন কিন্তু নিশ্চিতভাবে আপনি ১০০% গ্যারান্টি লিখে রাখতে পারেন। উনি আবার যুক্তরাজ্যে ফিরে যাবেন। ফপর দালালি একটা শব্দ আছে। ওটা করতে আসছেন আর কি আমাদেরকে জ্ঞান দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের জিনিসপত্র লিজ দিয়ে যাচ্ছেন।

যাইহোক চট্টগ্রামের নিউমারিং পোর্ট এটাও লিজ দেওয়ার জন্য সবকিছু ঠিকঠাক এর মধ্যে আদালতে একটা মামলা হয়েছে রিট হয়েছে এটা নিয়ে সে রিটের রায়ও আমরা আগামী সপ্তাহে পেয়ে যাব হয়তোবা আর কয়েকদিনের মধ্যে ডিসেম্বরের ফার্স্ট আমরা আদালত থেকে এটা রিটের রায় পাব কি পাব না এই সময় এই দুইটা ঘটনা নিয়ে তারেক রহমান সাহেবের অনেক বড় একটা স্ট্যাটাস আমি দেখতে পেলাম এবং এখানে উনি কি বলেছেন বেসিক্যালি। প্রথমে যে কথাটা উনি দুটো ঘটনা উল্লেখ করেছেন একজন ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক কিভাবে তার রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়াতে এখন তার জীবন ধারাটা কিরকম সমস্যা হচ্ছে টাকা দিতে পারছেন না।

আর একজন চাকরিজীবীর কথা বলেছেন, উনিও একটা জায়গায় চাকরি করতেন রপ্তানিমুখী চাকরি এবং সেখানে তার ওভারটাইম ধীরে ধীরে কমে গেছে তারপরে বেতনও বন্ধ হয়ে গেছে এখন উনি সংসার কিভাবে চালাবেন এগুলি নিয়ে টেনশন করছেন। এই যে ঘটনাগুলো উনি বলেছেন এটাকে উনি ব্যাখ্যা করেছেন যে এলডিসি থেকে কিভাবে উত্তরণ হওয়া যায়। উনি বলেছেন যে, যখন রপ্তানির ওপর চাপ বাড়ে তখন প্রথমে ওভারটাইম বন্ধ হয় তারপর শিফট কমে তারপরে চাকরি চলে যায়। এগুলো কোনো খবরের শিরোনাম হয় না। এগুলো সাধারণ ঘরের নিরব সংকট।

কিন্তু এরপরে যে কথাটা বলেছেন মোস্ট ইম্পর্টেন্ট কথা। আমি ইংরেজি কিন্তু আপনাদের বাংলা করে আপনাদের পড়ে শোনাচ্ছি। সেটা হলো যে তারা কখনো এই সিদ্ধান্তে ভোট দেয়নি। তাদের কখনো জিজ্ঞাসাও করা হয়নি। তাদের সামনে কখনো প্রকৃত হিসাব নিকাশও রাখা হয়নি। এ কারণেই বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের বিতর্কটি সরকারি বিবৃতি যতটা সহজ করে দেখায় তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

খুব সহজ ভাষায় উনি এটাকে বর্ণনা করেছেন যে এই যে সংকটগুলো আমি যে আগামীতে নির্বাচনে কাউকে একজনকে ভোট দেব সেই সময় এই যে সংকটগুলো এগুলো কি বিবেচনায় রাখা হবে যারা এই সংকটে পড়েছে তারা কি জানতে পারবে এই ভোট দিলে সে সংকট থেকে কতটুকু বাঁচবে অথবা সরকার যখন বলছে যে আমরা আগামীতে এলডিসি থেকে উত্তরে উত্তরণ ঘটাবো আমরা। তখন তারা কি এটা ঘটলে যাদের সমস্যা হবে কিংবা হবে না তাদের কি জিজ্ঞাসা করে। বেসিক পয়েন্ট হলো এটা আপনারা জানতে অনেকে আমি আলাপ করছি আমি সি অনেকে জানেন না আসলে এলডিসি জিনিসটা কি এলডিভিয়েশন করি লিস্ট ডেভলপমেন্ট কান্ট্রি মানে স্বল্পন্নত দেশ এলডিসি তো স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আমাদেরকে উত্তরণের জন্য উপরের স্তরে যায়ার জন্য একটা প্রস্তাব আছে এটা আগে সরকার এটা নিয়ে অগ্রসর করেছিল আমরা আগে ছিলাম অনুন্নত দেশ।

সেখান থেকে স্বল্পোন্নত দেশ সেখান থেকে উন্নত দেশ এরপর স্টেপটা বলা হয় এলডিসি গ্রাজুয়েট আমরা এলডিসি গ্রাজুয়েটের দিকে যাচ্ছি আর কি।
মাসুদ কামাল বলেন, জাতিসংঘের প্রস্তাব হলো যে আগামী বছর ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে আমরা এলডিসি থেকে এলডিসি গ্রাজুয়েট হয়ে যাব। তারেক রহমান এই ব্যাপারে বলেছেন এই কারণে যে এই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হ্যা আমরা তাই করব। তারা সিদ্ধান্তের কথা দেশকে জানিয়ে দিয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো যে এতে সমস্যাটা কোথায়? কেন তারেক আপত্তিটা করলেন? আপত্তি করেছেন এ কারণে যে যখন আপনি এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েট হয়ে যাবেন। তখন কি হবে? তখন তারা ধরে নেবে আপনারটা আর অতটা স্বল্পউন্নত নয়। আপনি এখন বেশ উন্নত উন্নতি করেছেন। যখন উন্নতি করেছেন স্বল্পোন্নত দেশগুলো কি হয়?

যেহেতু তারা স্বল্পোন্নত দেশ তারা কিন্তু অনেক দেশের অনেক আন্তর্জাতিক ঋণ পায় কম সুদে। আপনার সে কম সুদ আর থাকবে না আপনি অনেক জায়গায় পণ্য রপ্তানি করার সময় বিনা শুল্কে রপ্তানি করতে পারেন অথবা স্বল্প অল্প শুল্কে রপ্তানি করতে পারেন আপনি সেই সুযোগটা হারাবেন। আবার লাভও আছে লাভটা কি লাভটা হলো এই আপনার মানমর্যাদা বাড়বে আপনি পাবলিক বলতে পারবেন বিশেষ যেখানে যাবেন বলতে পারবেন আমি এলডিসি কম্পানি এলডিসি না মানে লিস্ট ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রি না আমরা এখন এলডিসি গ্রাজুয়েট হয়ে গিয়েছি অতএব আমাদের এখানে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো তোমরা আসো এসে আমাদের এখানে বিনিয়োগ করো আমাদেরকে ঋণ দাও সুদ বেশি হোক আমি ঋণ শোধ করতে পারব যেহেতু আমার টাকা আছে এগুলো এই লাভের চেয়ে ক্ষতি কি বেশি না লাভ বেশি এটা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে তাই কথা বলেছেন যে এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েট হলে পর যারা এফেক্টেড তারা কি জানে যে সরকার এরকম একটা সিদ্ধান্ত নিছে? তাদের কি বলা হয়েছিল যে এই সিদ্ধান্ত আমরা নিতে যাচ্ছি। তোমাদের কি মতামত? জিজ্ঞাসা করা হয়নি। সিদ্ধান্তটা কে নিচ্ছে?

সরকার নিচ্ছে। তারেক রহমান এই জায়গায় প্রশ্ন করেছেন যে আপনি যে নিচ্ছেন সিদ্ধান্তটা আপনি কি একটা নির্বাচিত সরকার? আপনাকে কি জনগণ ম্যান্ডেট দিয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য? আপনি তো একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আপনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে নতুন একটা রেগুলার গভমেন্ট আসবে। তাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে চলে যাবেন। তো আপনি কেন এই সমস্ত মৌলিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যা নেওয়ার এখতিয়ার আপনার নেই।

ঠিক এটাই কিন্তু উনি বলেছেন পোর্টের ব্যাপারে বন্দরের ব্যাপারে যে আপনি যে বন্দর আরেকজনকে দিয়ে দিচ্ছেন, আপনি কি কারো সঙ্গে আলাপ করেছেন অথবা এটা কি দেওয়ার আপনার অধিকার আছে? অধিকার তো নেই। আপনি এটা কার কাছে জবাবদিহি করছেন? আপনি তো জবাবদিহি করছেন না। এই জায়গায় কিন্তু উনি বলেছেন যে উনার কথা পড়ে শোনাই আপনাকে। লেট মি ভেরি ক্লিয়ার। উনি ক্লিয়ার করেছেন যে আমি পরিষ্কারভাবে বলি এটি ব্যক্তি বিশেষ বা কাউকে আক্রমণ করার বিষয় নয়। এটি প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করা এবং সেই নীতিকে রক্ষা করা যে সিদ্ধান্তগুলো ভবিষ্যতে দশক গঠন করবে। সেগুলো এমন সরকারের নেওয়া উচিত যারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করে। জনগণের কাছে জবাবদিহি কে করে?

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করে না। তারা কাউকে কিছু বলে না। তারা স্বাধীন তো তারা কি এসব সিদ্ধান্ত নিতে পারে? পারে না। প্রিয় দর্শক উনি বলেছেন আমি উনার আরেকটা বক্তব্য পড়ে শেষ করি। উনি বলেছেন, কেউ বলছে না যে আমরা এলডিসি থেকে উত্তরণ করব না। উনার বক্তব্য বা আমাদের বন্দর সংস্কার করা উচিত নয়। দাবি আরো সহজ এবং মৌলিক একটি দেশের ভবিষ্যৎ সেই সরকার দ্বারা স্থির হওয়া উচিত নয়, যেটি জনগণ নির্বাচন করেনি। একদম বেসিক কথা কিন্তু। আমি আগেও বলেছি আশিক চৌধুরী সাহেব যে ৩০ বছর ২২ বছর ৩২ বছরের জন্য যে পোর্টটাকে লিজ দিয়ে দিলেন, এই লিজ দেওয়ার কোনো এখতিয়ার নাই। যখন নাকি দেখা যায় যেটা ভালো হয়নি ওকে তো আমি ধরতে পারব না তাকে কি আমি ধরতে পারব তাকে আমি ধরতে পারব না এই জিনিসটা কিন্তু আপনাকে ভাই মাথায় রাখতে হবে। উনি ঠিক এই কথাটাই কিন্তু বলেছেন।

আমার কেন যেন মনে হচ্ছে এই জায়গাটাতে বোধহয় সরকারের সঙ্গে বিএনপির একটা বিরোধ তৈরি হয়েছে এবং সেই বিরোধটা আমি খুবই লজিক্যাল মনে করি। সরকার যে কাজগুলো করছে সবার কাছ থেকে সমর্থন পেয়ে পেয়ে এই সরকার এক ধরনের আশকারা পেয়ে গেছে। তারা যেভাবে চালাচ্ছে যেভাবে চলছে এটা চলার পদ্ধতি না। যেটা তাদের অধিকার নাই সেটা তারা করছে। এবং এটা করছে কেন? তারা আমি আগেও বলেছিলাম তারা একটা মিশন নিয়ে এসেছে। তারা সে মিশন ফুলফিল করছে এবং তারেক রহমান প্রথমবারের মতো খুব দৃঢ়ভাবে উনি যে প্রতিবাদটা করেছেন এজন্য উনাকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আমরা পলিটিক্যাল পার্টির লিডারদের কাছ থেকে এরকম দেশপ্রেমই আশা করি এবং আমি আশা করি অন্যান্য যে পার্টিগুলো আছে যেমন জামায়াতে ইসলাম আছে, এনসিপি আছে তারাও এই সমস্ত বিশেষ সরকারের বিরোধীতা করবে যে সরকারের যা করার এখতিয়ার নেই তা তারা করতে যাচ্ছে কেন? এগুলো থামানো দরকার এবং যারা এর পেছনে আছে, যারা কলকাঠি নাড়ছে তাদেরকেও সামনে নিয়ে আসা দরকার, আপনি অজুহাত দেবেন যে এটা জি-টু-জি চুক্তি ডিসক্লোজ করা যাবে না এ সমস্ত ফালতু কথা বলে কোনো লাভ নাই। জি-টু-জি কি আপনি ডেনমার্ক এবং সুইজারের সঙ্গে চুক্তি করছেন? আপনি কি গভমেন্টের সঙ্গে করছেন, নাকি ওখানকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করছেন? আপনি বেসরকারি কম্পানির সঙ্গে করছেন। কম্পানির সঙ্গে করা চুক্তি জি-টু-জি হয় কিভাবে আমাদেরকে হাইকোর্ট দেখাচ্ছেন আপনি, হাইকোর্ট দেখাবেন না।

এগুলো ঠিক না এবং আমি মনে করি যে প্রত্যেকটা পলিটিক্যাল পার্টির এখন সামনে এগিয়ে আসা উচিত। কেন এগিয়ে আসছেন না আমি জানি না, কিসের বিনিময়ে এগিয়ে আসছেন কিনা আমি জানি না। এর আগে দেখেছি আনু মোহাম্মদ, আব্দুল্লাহ সাঈদের মতো ব্যক্তিরা এ সমস্ত বন্দর টন্দর নিয়ে বেশ আন্দোলন করত হরতাল তারা ডাকছিল একবার এখন তারা কেন চুপ করে আছেন তাও জানি না। সবই রহস্য লাগে, এ ধরনের রহস্যের সমাধান হোক।

এমআর/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তরুণদের নিয়ে বাংলাদেশ ‘শক্তিশালী’: মালয়েশিয়া কোচ Nov 26, 2025
img
আর্সেনাল, লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়নস লিগসহ টিভিতে আজকের খেলা Nov 26, 2025
img
আজারবাইজান ও মালয়েশিয়ার সাথে জেতার চেষ্টা করব: আফঈদা Nov 26, 2025
img
বন্দর লিজ দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয় : মাসুদ কামাল Nov 26, 2025
img
আইসক্রিম কিনতে গিয়ে নিখোঁজ, ১৭ বছর পর ফিরলো পরিবারের কাছে! Nov 26, 2025
img

ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ

জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটে হারিয়ে দাপুটে জয় শ্রীলঙ্কার Nov 26, 2025
img

জকসুর জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা

আমাকে নিয়ে নোংরামি বন্ধ করুন Nov 26, 2025
img
২০০৪ সালের সাক্ষাৎ স্মরণ করে ধর্মেন্দ্রের প্রয়াণে আবেগঘন বার্তা পাক অভিনেত্রী রিমার Nov 26, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Nov 26, 2025
ভোলায় মোমবাতি জ্বালিয়ে ভোলা বরিশাল সেতুর দাবিতে আন্দোলন Nov 26, 2025
রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৭ Nov 26, 2025
প্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলার ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ, Nov 26, 2025
ব্রাজিলকে হারিয়ে ফাইনালে পর্তুগাল Nov 26, 2025
‘জুবিন গার্গের মৃত্যু পরিকল্পিত’, বিস্ফোরক দাবি আসামের মুখ্যমন্ত্রীর Nov 26, 2025
img
৫ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা পাওয়া যাবে : ইসি সচিব Nov 26, 2025
img
ভালো ব্যবহার পেলে আরও ভালোবাসা ফেরত দিই: দিতিপ্রিয়া রায় Nov 26, 2025
img
সিংহের ক্ষুধা থেকে শেখার আহ্বান সালমান খানের Nov 26, 2025
img
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হলেন রোহিত শর্মা Nov 26, 2025
img

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

ম‍্যানচেস্টার সিটিকে ২-০ গোলে হারিয়ে দাপুটে জয় লেভারকুজেনের Nov 26, 2025
img

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

এস্তেভাওয়ের দুর্দান্ত গোল, বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিল চেলসি Nov 26, 2025