২৩ নভেম্বর অগ্নিসাক্ষী রেখে বিশ্বজয়ী ক্রিকেটতারকা স্মৃতি মন্ধানার সঙ্গে সাতপাক ঘোরার কথা ছিল সুরকার পলাশ মুছলের। তবে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করার আগেই সব লন্ডভন্ড।
কানাঘুষো, বলিউডের সুরকার পাত্রের ‘কুকীর্তি’র জেরেই নাকি বিয়ে ভেস্তে গিয়েছে! হবু স্ত্রী স্মৃতির বান্ধবী তথা ডান্স কোরিওগ্রাফার মেরি ডি’কস্টার সঙ্গে ‘দুষ্টু চ্যাটে’র স্ক্রিনশট ভাইরাল হতেই পলাশ মুছলের চরিত্র নিয়ে জোর কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে নেটভুবনে। ‘চরিত্রহীন’ বলেও কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে সুরকারকে। এমতাবস্থায় ভাইয়ের হয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন গায়িকা পলক মুছল, পলাশ মুছলের তুতোবোন নীতি।
মেরি ডি’কস্টার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে ‘রসিক বার্তালাপে’র জেরে এই মুহূর্তে সোশাল পাড়ার ‘ভিলেন’ হয়ে উঠেছেন পলাশ। আর সেই প্রেক্ষিতেই স্মৃতির প্রতি সমব্যথী হয়ে নেটপাড়ার একাংশ লাগাতার সুরকারের চরিত্র হনন করা শুরু করেছে। এমতাবস্থায় ভাইয়ের কীর্তি নিয়ে পলক মুখ না খুললেও তাঁদের তুতোবোন প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। ভাইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে ইনস্টা স্টোরিতে নীতি লেখেন, “পলাশের শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক। আপনারা সত্যিটা না জেনেই পলাশকে ভুল ভাবছেন। বর্তমানে মানুষের থেকে প্রযুক্তি বহুগুন এগিয়ে গিয়েছে।
আর সেই জন্যই গুজবের আবহে পলাশকে বিচার করা উচিত নয়। ওঁর জন্য প্রার্থনা করুন।” বর্তমানে স্মৃতি-পলাশের বিয়ে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেটভুবনে চর্চার অন্ত নেই। অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে তারকাজুটির বিয়ে। রবিবার হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন স্মৃতির বাবা শ্রীনিবাস মান্ধানা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে সাঙ্গলির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সোমবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পলাশকেও।
ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে হোটেলে ফিরেছেন পলাশ। যদিও সময় গড়াতেই ঘটনাবলি ক্রমে অন্যদিকে বাঁক নেয়। পলাশকে ঘিরে নানারকম জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। অনেকেই দাবি করেন, বাবার অসুস্থতাটা প্রধান কারণ নয়। স্মৃতির বিয়ে পিছিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে পলাশেরই কিছু ‘কীর্তি’। সেই জল্পনায় ঘি ঢালে স্মৃতির একটি পদক্ষেপ। বিশ্বজয়ের মাঠে স্বপ্নের মতো ‘প্রোপোজাল’, বিয়ের সঙ্গীত-মেহেন্দির সমস্ত ছবি নিজের সোশাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দেন স্মৃতি। এমতাবস্থায় জেমাইমা, রাধা যাদবরা পলাশ মুছলকে সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ডে ‘আনফলো’ করায় বিয়ে ভাঙার জল্পনা তুঙ্গে।
আইকে/টিএ