পচা এই সমাজ আর চলবে না, এটা বদলাতেই হবে বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা এটা বদলাতে চাই, পরিবর্তন করতে চাই। তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে জনগণকে অন্ধকারে রেখে কিছুই করব না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্পষ্ট আলোয় এনে আমরা এ সমাজকে পরিবর্তন করতে চাই, সাজাতে চাই।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর রোকেয়া সরণিতে মেহফিল কনভেনশন হলে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় জামায়াতে ইসলামী ঢাকা ১৫ আসনের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মহানগর জামায়াতসহ চিকিৎসাখাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।
জামায়াত আমির যুবকদের প্রত্যাশা পূরণ, দেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানো এবং দরদি, মানবিক ও ইনসাফের সমাজ গড়ার জন্য দোয়া কামনা করেন। তিনি বলেন, আমরা কোনো সিদ্ধান্তের আগে অবশ্যই অংশীজনদের বাস্তবধর্মী মতামত আমলে নিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই সেটা বাস্তবায়ন করব, ইনশাআল্লাহ।
ওষুধ কম্পানির নানা সুবিধা ও প্রলোভনের কারণে অনেক চিকিৎসক তাদের পেশাগত নীতিমালা ভুলে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন চিকিৎসক সমাজে হালাল আয়-রোজগার ও সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপনের পূর্ণ সুযোগ রাখেন। কিন্তু অনেকেই সেই হালাল পথ ছেড়ে অবৈধ উপার্জনের পেছনে ছুটছেন, যা নৈতিক ও ধর্মীয়ভাবে ভয়াবহ অপরাধ। আপনাদের এত অস্থিরতা কেন? কেন সবর নেই? গাড়ি লাগবে, ফ্ল্যাট লাগবে, বিদেশ যাওয়ার টিকিট লাগবে, ছেলের বিদেশে থাকার খরচ লাগবে এসব পূরণ করে দিচ্ছে ওষুধ কম্পানিগুলো। আর এই সুবিধা পেতে পেতে চিকিৎসক অন্ধ হয়ে যান।
ওষুধ কম্পানির দেওয়া গাড়ি, ফ্ল্যাট, টিকিট, বিদেশ ভ্রমণের স্পন্সরসহ নানা সুবিধার বিনিময়ে চিকিৎসকদের অন্ধভাবে নির্দিষ্ট কম্পানির ওষুধ লেখাকে ভয়াবহ অনৈতিক ও হারাম বলে উল্লেখ করেছেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, আমি যতটুকু হালাল এবং হারামের সীমা বুঝি নির্দ্বিধায় বলতে পারি এগুলো সম্পূর্ণ হারাম। আপনারা আগুন দিয়ে পেট ভরবেন কার জন্য।
এসএস/এসএন