নবম পে-কমিশন: গেজেটের দাবিতে মহাসমাবেশের ডাক সরকারি কর্মচারীদের

 সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন মিনিস্ট্রিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ নবম বেতন কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে অর্থ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছে। দাবি মানা না হলে ১০ জানুয়ারি কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) পৃথকভাবে সংগঠনগুলো এসব কর্মসূচি ঘোষণা করে।

সংগঠনের নেতারা বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর কর্মচারীরা একই বেতনে কাজ করছেন। অথচ বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্য, ঘরভাড়া, চিকিৎসা ব্যয় ও গ্যাস বিল বেড়েছে বহুগুণ। কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পুনর্মূল্যায়ন করা হয়নি। প্রতি ৫ বছর অন্তর পে-স্কেল দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, কিন্তু বাস্তবে গত ১০ বছরেও পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়নি। নিম্নআয়ের কর্মচারীরা অমানবিক জীবনযাপন করছেন।

তারা আরও দাবি করেন, ঢাকঢোল পিটিয়ে পে-কমিশন গঠন করা হলেও এখনো কোনো সুপারিশ বা গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের দাবি—অবশ্যই নির্বাচনের আগে নবম পে-কমিশনের গেজেট প্রকাশ করতে হবে। তাদের দাবির সঙ্গে সচিবালয়ের কর্মচারীদের একাংশ একাত্মতা পোষণ করেছেন।

এদিকে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ একই দাবিতে বুধবার অর্থ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছে। স্মারকলিপিতে বলা হয়, বর্তমান সরকারের উদ্যোগে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘ প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গিয়ে এক ধরণের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যা ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের পক্ষে অনুকূল নয় বলে কর্মচারীরা মনে করেন।

সংগঠনটি দাবি করে, বিদ্যমান ২০টি গ্রেড ভেঙে ১০টি ধাপে পুনর্গঠন করে ১:৪ অনুপাতে বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে। এতে দীর্ঘদিনের বেতন বৈষম্য দূর হবে। বেতন কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।

সংগঠনের আরও দুটি দাবি হলো-সচিবালয় ভাতা ও সচিবালয় রেশন ভাতা প্রবর্তন। অর্থ উপদেষ্টাকে দেওয়া স্মারকলিপিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, ডিসেম্বরের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি এবং ১ জানুয়ারির মধ্যে গেজেট প্রকাশ না হলে ১০ জানুয়ারি থেকে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন কর্মচারীরা।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গাইবান্ধায় ধানের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ Dec 04, 2025
img
নীলফামারীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ জনের Dec 04, 2025
img
নবম পে-কমিশন: গেজেটের দাবিতে মহাসমাবেশের ডাক সরকারি কর্মচারীদের Dec 04, 2025
img
লাল কার্ডের জন্য কষ্ট পাচ্ছেন লুকাস পাকুয়েতা Dec 04, 2025
img
রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচের বিষয়ে নতুন উদ্যোগ Dec 04, 2025
img
রাজধানীতে আবারও ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত Dec 04, 2025
img

লে. কর্নেল রাশেদ কামাল রনি

‘সীমান্তে পুশইন মোকাবিলায় বিজিবি-জনতা একত্রিত হতে হবে’ Dec 04, 2025
img
১১৭২ জাল সনদধারী শিক্ষক শনাক্ত Dec 04, 2025
img
১৯ দেশের নাগরিকদের অভিবাসন স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র Dec 04, 2025
img

৪ ডিসেম্বর

ইতিহাসের এই দিনে স্মরণীয় যত ঘটনা Dec 04, 2025
জামায়াত মওদুদীবাদে বিশ্বাস করে, ইসলামে বিশ্বাস করে: মির্জা আব্বাস Dec 04, 2025
যুদ্ধের ক্ষত নিয়েও নতুন জীবনের স্বপ্ন, গাজায় ৫৪ দম্পতির গণবিয়ে Dec 04, 2025
সোমালিয়ার অভিবাসীদের আবর্জনা আখ্যা দিলেন ট্রাম্প Dec 04, 2025
পুঁজিবাদ নয় নারীর পরিচয় ও মর্যাদা নিয়ে কুরআনের নির্দেশনা সর্বোত্তম: খামেনি Dec 04, 2025
ট্রাইব্যুনালে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইলেন ফজলুর রহমান Dec 04, 2025
খালেদা জিয়া মৃত্যুবরন করলে আখিরাতেও একই ধরনের সম্মান পাবে-ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান Dec 04, 2025
শেখ হাসিনার চুক্তি এই আমলেও বহাল কেন? প্রশ্ন বন্দর আন্দোলনের নেতাদের Dec 04, 2025
জনগণের সিদ্ধান্তকে আমরা চূড়ান্ত মেনে নিব; হাসনাত আবদুল্লাহ Dec 04, 2025
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা Dec 04, 2025
এইডস দিবসে সানির ব্যতিক্রমী বার্তা Dec 04, 2025