ধর্মেন্দ্র এবং আশা পারেখ ষাট’র দশকে বেশ জনপ্রিয় জুটি ছিলেন। তাদের অনস্ক্রিন রসায়ন যেমন ভক্তদের মন কাড়ে তেমনি পর্দার বাইরেও তারা ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
গত ২৪ নভেম্বর অনন্ত যাত্রায় পাড়ি জমান কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। তার মৃত্যুতে পরিবারসহ ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা গভীরভাবে শোকাচ্ছন হয়ে পড়েন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্রর সহ-অভিনেতা ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু আশা পারেখ তাদের হিট চলচ্চিত্র ‘সমাধি’তে একটি মৃত্যুর দৃশ্যের কথা স্মরণ করেন।
এই প্রবীণ অভিনেত্রী বলেন, ‘সমাধির সেটে খুব মজার ঘটনা ঘটেছিল । একটা দৃশ্যে আমার মৃত হওয়ার কথা ছিল আর ধর্মেন্দ্র আমার মৃত দেহ ধরে কাঁদবে।’
‘কিন্তু সেই দিন আমাদের দুজনের বাড়িতেই ইনকাম ট্যাক্সের লোকেরা অভিযান চালায়। তাই আমরা দুজনেই এতটাই চিন্তিত ছিলাম যে তখন আমার মৃত হওয়ার অভিনয় করা খুব কঠিন হয়ে যায়। ধরমজি খুব অস্থির ছিলেন কারণ আমাদের দুজনকেই অনুমতি নিয়ে শ্যুটিংয়ে যেতে হয়েছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটা খুবই মজার একটা পরিস্থিতি ছিল। সেই দিন আমরা দুজনেই খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। ইনকাম ট্যাক্সের লোকেরা বাড়িতে বসে আছে আর এদিকে আমরা শ্যুটিং করছি।’
‘সমাধি’ ছবিতে ধর্মেন্দ্র লক্ষ্মণ সিং নামে একজন ডাকাত চরিত্রে অভিনয় করেন। যে প্রেমে পড়ে চম্পাকে বিয়ে করেন। কিন্তু চম্পা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ায় লক্ষ্মণকে তার চিকিৎসার জন্য অর্থ জোগাড় করতে অপরাধমূলক জীবনে ফিরে যেতে হয়। ছবিটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়।
ধর্মেন্দ্র ও আশা পারেখ একসাথে পাঁচটি ছবিতে কাজ করেন। ‘আয়ে দিন বাহার কে (১৯৬৬)’, ‘শিকার (১৯৬৮)’, ‘আয়া সাওয়ান ঝুম কে (১৯৬৯)’, ‘মেরা গাও মেরা দেশ (১৯৭১)’ এবং ‘সমাধি (১৯৭২)’। তাদের অনস্ক্রিন রসায়ন জনসাধারণের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল।
পিএ/এসএন