গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এখনও অর্জিত হয়নি: কাতারের প্রধানমন্ত্রী

কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এখনও অর্জিত হয়নি। এটা তখনই সম্পূর্ণ হবে, যখন ইসরাইলি বাহিনী পুরোপুরি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে সরে আসবে। আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কাতারের রাজধানী দোহায় শুরু হওয়া দোহা ফোরামে তিনি এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের পাশাপাশি কাতারও গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখে, যা গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হয়। এর মধ্যদিয়ে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলমান দুই বছরের পূর্ণমাত্রার সংঘাতের আপাত অবসান হয়।

যদিও গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে দেশটির সেনারা। এদিকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্যও পর্যাপ্ত সহায়তা পৌঁছাচ্ছে না। সেই সঙ্গে উপত্যকাটি থেকে ফিলিস্তিনিদের উৎখাতেও একের পর এক পরিকল্পনা করছে দেশটির নেতারা।

এমন পরিস্থিতিতে শনিবার শুরু হয়েছে দোহা ফোরাম। কাতারের রাজধানী দোহায় প্রতিবছর কূটনৈতিক এ ফোরামের আয়োজন করা হয়। যেখানে আরব দেশসহ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর কূটনীতিকরা অংশ নিয়ে থাকেন। এবার ১৫০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ৬ হাজার প্রতিনিধি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।

দোহা ফোরামে গাজা প্রসঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন এক সংকটময় মুহূর্তে… পূর্ণ যুদ্ধবিরতি তখনই সম্ভব, যখন ইসরাইলি সেনাদের গাজা থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হবে এবং সেখানে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।’

গাজা শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ এখনও শুরু হয়নি। দ্বিতীয় ধাপে ইসরাইলি বাহিনীর ধীরে ধীরে গাজায় তাদের অবস্থান ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এরপর একটি অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ গাজার শাসনভার নেবে এবং আইএসএফ নামে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন করে গাজায় স্থিতিশীলতা আনতে মোতায়েন করা হবে।

তবে আরব ও মুসলিম দেশগুলো এই বাহিনীতে অংশ নিতে অনিচ্ছুক। কারণ বাহিনীটিকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে হতে পারে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান দোহা ফোরামে বলেন, আইএসএফ গঠনের বিষয়ে আলোচনা চলছে, তবে এর নেতৃত্ব কাঠামো ও কোন কোন দেশ এতে অংশ নেবে—এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের এখনো রয়েই গেছে।

ফিদানের মতে, আইএসএফের প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত, ‘ফিলিস্তিনিদের ইসরাইলিদের থেকে আলাদা করা।’ তিনি বলেন, ‘এটি হওয়া উচিত আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। এরপর বাকি বিষয়গুলো মোকাবিলা করা যাবে।’

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জাতীয় সংগীত গাইতে গাইতে প্রিজনভ্যানে ট্রাইব্যুনাল ছাড়লেন পলক Dec 08, 2025
img
কানাডায় শুরু হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী Dec 08, 2025
img
ব্রাজিলকে হারিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ জিতবে ভারত : গ্রোক এআই Dec 08, 2025
খালেদা জিয়ার অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি নেই Dec 08, 2025
img
আপাতত লন্ডন যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া, আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স Dec 08, 2025
img
স্বকীয়তার আলোয় আলোকিত ‘স্পর্শিয়া’ Dec 08, 2025
img
নিউজিল্যান্ড শিবিরে বড় ধাক্কা Dec 08, 2025
img
এক যুগ পর ভিসা ফি ২০ ডলার বাড়াল মিসর Dec 08, 2025
img
প্রবাসীদের জন্য মোবাইল ফোন নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল Dec 08, 2025
img
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ Dec 08, 2025
img
বাজেট থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হলো সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংককে Dec 08, 2025
img
দেশে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে কোনো ধরনের বাধা নেই : ড. এম সাখাওয়াত হোসেন Dec 08, 2025
img
জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন আজ Dec 08, 2025
img
বাংলাদেশিদের জন্য রোমানিয়ার ভিসা আবেদন নিয়ে সুখবর Dec 08, 2025
img
বেনিনে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দিল সরকার অনুগত সৈন্যরা Dec 08, 2025
img
চলতি সপ্তাহের মধ্যে তফসিল দিতে চেয়েছে ইসি: মিয়া গোলাম পরওয়ার Dec 08, 2025
img
জামায়াত ধর্ম নিয়ে কাজ করে, ব্যবহার করে না: ডা. শফিকুর রহমান Dec 08, 2025
img
দেশে কাজের সংকটের কারণে শিল্পীরা বিদেশ চলে যাচ্ছে : মিশা সওদাগর Dec 08, 2025
img
পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি Dec 08, 2025
img
মঞ্চে অশালীন অঙ্গভঙ্গি কারণে তোপের মুখে গায়িকা নেহা কক্কর Dec 08, 2025