দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে : নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, তফসিল ঘোষণা মানেই নির্বাচন নয়, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।


শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্রি ইউনিয়নে নির্বাচনি পথসভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ঢাকায় ইনকিলাব মঞ্চের সংগ্রামী তরুণ আমাদের ছোট ভাই ওসমান হাদিকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। তফসিল ঘোষণা হলেই যে নির্বাচন হবে সেটি বলার অবকাশ নেই। কারণ পতিত কিছু ফ্যাসিস্ট শক্তি, পরাজিত শক্তি তারা নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার, নির্বাচনকে বানচাল করার কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যদি আমরা জুলাইয়ের শক্তি, সমর্থ্য রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকি তাহলে আগামীতে নির্বাচন হবে কি না সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। আবার হলো সেটা সুষ্ঠু নির্বাচন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কি না সেটি নিয়েও সন্দেহ আছে। তাই আমরা জুলাইয়ের শক্তি সমূহ ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই। সমন্বয়ের মাধ্যমে আগামীতে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। জুলাইয়ের শক্তি যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না, নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। আমরা আমাদের ছোট ভাই ওসমান হাদি যেভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছে খুবই গুরুতর। আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রাখুক, আমরা তার জন্য দোয়া করি। খালেদা জিয়ার অবস্থাও গুরুতর, তার জন্যও দোয়া করি।

অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গে ভিপি নুর বলেন, অভ্যুত্থানের আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা আমাদের বিজয়কে মেনে নিতে চাইবে না এবং আমরা যারা নেতৃত্ব দিয়েছি তাদের প্রতি যে ক্ষোভ রয়েছে সেটা আমরা দেখেছি। গত ২৯ আগস্ট আমি আমার কার্যালয়ের সামনে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের কতিপয় বিপথগামী সদস্যদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলাম। সেটা নিয়ে বিচার বিভাগীয় একটি তদন্ত গঠিত হয়েছে। আশা করি সেটার একটি প্রতিবেদন আসবে।


নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নিরাপত্তাহীনতা আছে স্বাভাবিকভাবেই। শুধু আমার না, অনেকেরই নিরাপত্তা শঙ্কা রয়েছে। এখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। আমার মনে হয় অন্তত এই সন্ত্রাসীদেরকে, অস্ত্রধারীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য আগামীতে যৌথ বাহিনীর একটি চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা দরকার।

টিজ/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পিস্তলসহ গ্রেপ্তারের ১ মাস পরই জামিন পান হাদিকে গুলি করা ফয়সাল Dec 13, 2025
img
রাজশাহীতে এনসিপি নেতাকে মারধর, রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশ আঘাতপ্রাপ্ত Dec 13, 2025
img
ভোট দিতে ৩৪০৬৪৩ প্রবাসীর নিবন্ধন Dec 13, 2025
img
মেসির সঙ্গে দেখা করবেন বলিউড বাদশাহ Dec 13, 2025
img
সৌরভ চক্রতীর ব্যক্তিগত জীবনের বাস্তব উপলব্ধি Dec 13, 2025
img
দায় চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা নস্যাৎ হয়েছে : রাশেদ খান Dec 13, 2025
img
পিরোজপুরে ব্যাহত ফেরি চলাচল, ভোগান্তিতে হাজারো যাত্রী Dec 13, 2025
img
বাংলাদেশি নাবিকসহ তেলবাহী জাহাজ আটক করল ইরান Dec 13, 2025
img
তাড়াশ হানাদারমুক্ত দিবস আজ Dec 13, 2025
img
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পারস্পরিক সমন্বয় জোরদারে একমত ইরাক-রাশিয়া Dec 13, 2025
img
রুশ সম্পদ জব্দের সিদ্ধান্তে অটল ইউরোপীয় ইউনিয়ন Dec 13, 2025
img
পতাকা বৈঠকের একদিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ Dec 13, 2025
img
রাজধানীতে অপরিবর্তিত থাকবে তাপমাত্রা Dec 13, 2025
img
১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের Dec 13, 2025
img
বিশ্বকাপ টিকিটের আকাশছোঁয়া দামের পরও আবেদন ৫০ লক্ষ Dec 13, 2025
img
নো মেকআপ লুকে জয়া আহসান! Dec 13, 2025
img
সন্ত্রাসীদের পেছনের শক্তি কারা স্পষ্ট করতে হবে : জামায়াত আমির Dec 13, 2025
img
আশার গল্প শোনানোর মতো পরিস্থিতি নেই, হাদির অবস্থা প্রসঙ্গে বিশেষ সহকারী Dec 13, 2025
img
সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রেডিটের Dec 13, 2025
img
১৩ ডিসেম্বর: ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত কী ঘটেছিল? Dec 13, 2025