টেকনাফ সীমান্তের ওপারে তীব্র গোলাগুলির শব্দ, আতঙ্ক এপারে

কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নে মিয়ানমারের লাগোয়া সীমান্ত এলাকায় মর্টারশেল ও ভারী গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন স্থানীয়রা।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা থেকে টানা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সীমান্তের ওপারে চলা গোলাগুলি ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ এপারের কয়েকটি গ্রামে শোনা যায়।

এ সময় মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলি বাংলাদেশের ভেতরে এসে কয়েকটি বাড়ির টিনের চালা ভেদ করে ঘরের ভেতরে পড়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন পর ওপারে আবারও তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। তাদের ধারণা, সীমান্তবর্তী ওপারের ঢেকুবনিয়া অংশে আরকান আর্মি ও আরসার মধ্যে সংর্ঘষ হতে পারে।

হোয়াইক্যং ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার ভোরবেলা থেকে সংর্ঘষের আওয়াজ পাওয়া গেছে, অনেকদিন পরে এরকম তীব্রতা লক্ষ্য করা গেছে। হতে পারে আরকান আর্মি ও আরসা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। হোয়াইক্যং বাজার সংলগ্ন স্থানীয় মোহাম্মদ হোসেন ও আব্দুল কুদ্দুসের বাড়িতে এবং বালুখালী গ্রামের সরওয়ার আলমের বাড়িতে কয়েকটি গুলি এসে পড়ে বলে জানান তিনি।

মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে নুরুল আবছার বলেন, ওপারে গোলাগুলির সময় আমার ঘরের টিনের চালে পর পর দুটি গুলি এসে লাগে। আমরা ভয় পেয়ে যাই। যখনই ফায়ার হয়েছে, বাড়িঘর কেঁপে উঠেছে।

এছাড়া সংর্ঘষ চলাকালে উত্তর পাড়া সংলগ্ন নাফ নদীতে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়, স্থানীয়রা মনে করছেন সেখানে মটারশেল পড়ায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

উত্তর পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ জয়নাল বলেন, সকালে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি নদীতে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে, সেখানে মটারশেলের মতো কিছু পড়েছে।

হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খোকন কান্তি রুদ্র বলেন, শনিবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তের দিক থেকে প্রচুর গোলাগুলির শব্দ ভেসে এসেছে। কয়েকটি বাড়িতে গুলি পড়েছে বলে আমরা শুনেছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য না মিললেও বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল অব্যাহত রাখার তথ্য জানানো হয়েছে। 

ইউটি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সুপ্রিম কোর্টের ক্যান্টিনে আগুন Dec 16, 2025
img
ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার Dec 16, 2025
img
হাদির ঘটনায় ফয়সাল করিমের এক সহযোগী গ্রেপ্তার Dec 16, 2025
img
আজ মহান বিজয় দিবস Dec 16, 2025
img
আরও দুই মামলায় আলোচিত ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শ্যোন আটক Dec 16, 2025
img
দিল্লিতে ২৭টি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতি হবে মেসির ফুসফুসের! Dec 16, 2025
img
মানিকগঞ্জে ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুই ককটেল বিস্ফোরণ Dec 16, 2025
img
মেহেরপুরে এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ এনসিপি নেতার বাবা Dec 16, 2025
img
বিরাট-রোহিত ও বাবরকে ২০২৭ বিশ্বকাপে দেখতে চান শোয়েব আখতার Dec 15, 2025
img
মাল্টা উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি, ৫৯ বাংলাদেশি উদ্ধার Dec 15, 2025
img
চবি উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ Dec 15, 2025
img
পুলিশের বিশেষ অভিযানে যুবলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার Dec 15, 2025
img
নেতানিয়াহুর ওপর ক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া বার্তা Dec 15, 2025
img
চট্টগ্রামে ঝুটের গুদামে আগুন Dec 15, 2025
img
অ্যাক্টিভিস্ট রাকিব আল হাসানের বাবা ডিবি হেফাজতে Dec 15, 2025
img
হাদির পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন, মঙ্গলবার সকালে জানা যাবে রিপোর্ট Dec 15, 2025
img
বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রাশিয়ান হাউসের Dec 15, 2025
img
নোবেল নিতে যাওয়ার সময় আহত হলেন মাচাদো Dec 15, 2025
img
‘স্পিরিট’-এ ২০০ ফাইটারের বিপরীতে প্রভাসের শক্তিশালী পারফরম্যান্স Dec 15, 2025
img
শীত বিলাসের জোর দাবি জানালেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ Dec 15, 2025