এবারের অ্যাশেজে অলরাউন্ডার হিসেবেই দেখা যাচ্ছে ক্যামেরন গ্রিনকে। দুই টেস্টেই তিনি ব্যাটিং-বোলিং দুটিই করেছেন। কিন্তু আইপিএলের নিলামে তিনি নিজেকে রেখেছেন স্রেফ ‘ব্যাটার’ ক্যাটাগরিতে। তাতে ছড়িয়ে পড়েছিল সংশয়। সেই বিভ্রান্তি নিজেই দূর করে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার জানালেন, মূলত তার ম্যানেজারের ভুলে এমনটি হয়েছে।
আইপিএল নিলামের দুই দিন আগে গ্রিনের এই বক্তব্য বাড়তি উত্তেজনার রসদ ছড়াবে নিশ্চিতভাবেই। এবারে নিলামের মূল আকর্ষণ মনে করা হচ্ছে ২৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারকে। তাকে নিয়ে টেবিলের খেলায় প্রবল লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধু ‘ব্যাটার’ হলেও কাড়াকাড়ি পড়ে যেত হয়তো, তবে ‘অলরাউন্ডার’ হওয়ায় লড়াইটা জমবে আরও বেশি।
অ্যাডিলেইডে রোববার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ প্রস্তুতির আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গ্রিন জানান, নিলামের নিবন্ধনের সময় ভুল বাক্সে টিক দিয়েছেন তার ম্যানেজার।
“বোলিংয়ের জন্য আমি ভালোভাবেই তৈরি। জানি না, আমার ম্যানেজার এটা শুনতে পছন্দ করবে কি না, তবে তার দিক থেকেই আসলে ঝামেলাটা হয়েছে। সে ‘ব্যাটার’ বোঝাতে চায়নি। আমার ধারণা, সে দুর্ঘটনাবশত সে ভুল বক্স নির্বাচন করে ফেলেছে। পুরো ব্যাপারটা যেভাবে হয়েছে, তা বেশ মজার। তবে হ্যাঁ, তার দিক থেকেই মূলত ঝামেলাটি হয়েছে।”
ভারতীয় ও অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমের ধারণা, নিলামে এবার সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার হবেন গ্রিনই। এমনকি রিশাভ পান্তের ২৭ কোটি রুপির রেকর্ডও তিনি ভেঙে দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাকে পেতে যে দলগুলি মরিয়া থাকবে, সেগুলোর একটি মনে করা হচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। ধরে রাখা ও ছেড়ে দেওয়া ক্রিকেটারদের তালিকা চূড়ান্ত করার পর এবারের মিনি নিলামে সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করতে পারবে এই দলটিই।
আইপিএলে রেকর্ড মূল্যে দল পাওয়া অবশ্য গ্রিনের জন্য নতুন কিছু নয়। ২০২৩ আইপিএলের নিলামে সাড়ে ১৭ কোটি রুপিতে তাকে দলে নিয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলের নিলামে অস্ট্রেলিয়ান রেকর্ড ছিল সেটি। তখনও তার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা তেমন ছিল না।
সেই আসরে অসাধারণ কিছু না করলেও বেশ ভালো ছিল তার পারফরম্যান্স। ৫০.২২ গড় ও ১৬০.২৮ স্ট্রাইক রেটে ৪৫২ রান করেছিলেন তিনি, উইকেট নিয়েছিলেন ৬টি। এর মধ্যে ছিল ৪৭ বলে সেঞ্চুরির ইনিংসও। পরের আসরে তাকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে ‘ট্রেড’ করে মুম্বাই। এবার গ্রিনের পারফরম্যান্স ততটা উজ্জ্বল ছিল না। উইকেট ১০টি নিলেও রান করেন ৩১.৮৭ গড় ও ১৪৩.২৫ স্ট্রাইক রেটে ২৫৫।
গত আসরে তিনি খেলতে পারেননি পিঠের চোট থেকে সেরে ওঠার পথে থাকায়।
সেই চোটের কারণেই বেশ কিছুদিন তার পরিচয় ছিল শুধুই ব্যাটার। চোট কাটিয়ে গত জুনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন শুধুই ব্যাটসম্যান হিসেবে। পরে গত মাসে শেফিল্ড শিল্ডে আবার বোলিং শুরু করেন। এখন নিয়মিতই বোলিং করতে পারছেন।
আবু ধাবিতে এবারের নিলাম হবে আগামী মঙ্গলবার। পরদিনই শুরু অ্যাশেজের অ্যাডিলেইড টেস্ট। গ্রিন জানালেন, রোমাঞ্চ নিয়েই চোখ রাখবেন নিলামের দিকে।
“নিশ্চিতভাবেই আমি দেখব, আরও কয়েকজনের সঙ্গে। এসব দেখা সবসময়ই খুব মজার। অনেকটা লটারির মতো, কোন দলে যাব, আমার দলে আর কে কে থাকছে… সবসময়ই এসব দেখতে মজা লাগে।”
এমআর/টিকে