ভারতের চার শহরে লিওনেল মেসির সফরটা তিন দিনব্যাপী। প্রারম্ভিকতাটা মোটেই ভালো হয়নি। কলকাতা দিয়ে শুরু করেছিলেন, সেখানে ঘটে যায় তুলকালাক কাণ্ড। যুব ভারতী স্টেডিয়ামে দর্শকরা তাকে ঠিকমতো দেখতে না পেয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন।
লুইস সুয়ারেজ ও রদ্রিগো ডি পলসহ আর্জেন্টিনার মহাতারকা যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছাতেই অন্তত ৭০–৮০ জন মানুষ তাকে ঘিরে ধরেন। মূলত মন্ত্রী, কর্তারাই ঘিরে ধরেন মেসিকে। এমনভাবে ঘিরে ধরেছিলেন যে, ভালো করে হাঁটার জায়গাটুকুই পাচ্ছিলেন না মেসি। ক্যামেরা এবং মোবাইল হাতে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সবাই। মেসিকে ঘিরে রাখেন নিরাপত্তারক্ষীরাও। যে কারণে গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা মেসিকে দেখতে পারছিলেন না।
তাতেই ক্ষেপে যান দর্শকরা, মোটা অঙ্কে টিকিট কেটে মেসিকে দেখতে না পারায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। ক্ষোভ আছড়ে পড়ে মাঠে। গ্যালারিতে থেকে ছুঁড়ে মারা হয় বোতল, চেয়ার ভেঙে ছুঁড়ে মারা হয় মাঠে; ফেন্সিংয়ের গেট ভেঙে ঢুকে পড়েন মাঠের ভেতরে। পুলিশ লাঠিচার্জ করেও তাদের ফেরাতে ব্যর্থ হয়। সব মিলিয়ে লন্ডভন্ড এক কাণ্ড দাঁড়ায় স্টেডিয়ামে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই মেসি যুবভারতী ছাড়েন।
মেসিকে ভারতে এনেছেন শতদ্রু দত্ত নামের এক উদ্যোক্তা। বিশৃঙ্খলার জন্য কলকাতা পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা করে। গ্রেফতার করা শতদ্রু দত্তকে। বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি দর্শকদের টাকা ফিরিয়ে দিতে লিখিত আশ্বাস দিয়েছেন।
মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে বিশৃঙ্খলার কারণে গতকাল ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারও গ্রেফতার দাবি করলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত শর্মা। ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, যিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে গ্রেফতার করা উচিত ছিল। প্রথম দায়িত্ব তাদের ওপরই বর্তায়।’
আইআর/টিকে