ভারতের টেস্ট এবং ওয়ানডে অধিনায়ক শুবমান গিল। টি-টোয়েন্টি সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে রয়েছেন। বাকি দুই ফরম্যাটে ছন্দে থাকলেও টি-টোয়েন্টিতে যেন সেভাবে ছন্দে নেই গিল।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, আইপিএলে গিলের রেকর্ডটা অত খারাপ নয়। তবে ভারতের ক্রিকেটের বাস্তবতা বিবেচনায় নিলে গিলের চেয়েও ভালো বিকল্প রয়েছে ভারতের কাছে। সাঞ্জু স্যামসন, যশস্বী জাইসওয়ালরা তো একসময় টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিতই ছিল। তবে গিলকে জায়গা করে দিতে গিয়েই এখন দলে জায়গা হচ্ছে না তাদের।
এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে সহ-অধিনায়ক করে দলে ফেরানো হয় শুবমান গিলকে। ওপেনিংয়ে অভিষেক শর্মার সাথে জুটি বাঁধেন গিল। এর আগে ওপেনিংয়ে খেলা সাঞ্জু স্যামসনকে শুরুতে তিনে নামানো হয়। পরে নামানো হয় পাঁচে। পরে একাদশেই বাইরেই চলে যান স্যামসন। যদিও স্যামসন এই ফরম্যাটে ওপেনিংয়ে দারুণ ছন্দে ছিলেন। মাঝে পাঁচ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ডও গড়েছিলেন।
এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে সহ-অধিনায়ক করে দলে ফেরানো হয় শুবমান গিলকে। ওপেনিংয়ে অভিষেক শর্মার সাথে জুটি বাঁধেন গিল। এর আগে ওপেনিংয়ে খেলা সাঞ্জু স্যামসনকে শুরুতে তিনে নামানো হয়। পরে নামানো হয় পাঁচে। পরে একাদশেই বাইরেই চলে যান স্যামসন। যদিও স্যামসন এই ফরম্যাটে ওপেনিংয়ে দারুণ ছন্দে ছিলেন। মাঝে পাঁচ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ডও গড়েছিলেন।
আইপিএল এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যশস্বী জাইসওয়ালও পরীক্ষিত ক্রিকেটার। ওপেনিংয়ে বেশ কিছু ভালো ইনিংস রয়েছে তার। ইংল্যান্ড সিরিজে গিলের বদলে ওয়ানডেতে সুযোগ মিলেছিল জাইসওয়ালের। একটি সেঞ্চুরিও পেয়েছেন জাইসওয়াল। তবুও দেড় বছর ধরে টি-টোয়েন্টি দলে নেই তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যমে আলোচনা আছে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি যুগের পর শুবমান গিলকে নতুন প্রজন্মের তারকা হিসেবে বিবেচনা করছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। যে কারণে দুই ফরম্যাটে গিলকে অধিনায়কও করা হয়েছে। এছাড়া ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরও দারুণ পছন্দ করেন গিলকে। বাকি দুই ফরম্যাটে ভালো করলেও টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাশা মেটাতে পারছেন না গিল। ফেরার পর ১৪ ইনিংসে ফিফটির দেখা পাননি শুবমান গিল। চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও ধুঁকছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ৪ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে গোল্ডেন ডাক। তৃতীয় ম্যাচে ২৮ বলে করেছেন ২৮ রান। প্রায় চাপহীন রান তাড়াতেও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি গিল।
ভারতীয় গণমাধ্যমে আলোচনা আছে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি যুগের পর শুবমান গিলকে নতুন প্রজন্মের তারকা হিসেবে বিবেচনা করছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। যে কারণে দুই ফরম্যাটে গিলকে অধিনায়কও করা হয়েছে। এছাড়া ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরও দারুণ পছন্দ করেন গিলকে। বাকি দুই ফরম্যাটে ভালো করলেও টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাশা মেটাতে পারছেন না গিল। ফেরার পর ১৪ ইনিংসে ফিফটির দেখা পাননি শুবমান গিল। চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও ধুঁকছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ৪ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে গোল্ডেন ডাক। তৃতীয় ম্যাচে ২৮ বলে করেছেন ২৮ রান। প্রায় চাপহীন রান তাড়াতেও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি গিল।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ তাই গিলকে এখন বিশ্রাম দেওয়ার পক্ষে। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কাইফ বলেছেন, ‘আগেও বলেছি, শুবমান গিলের ওপর অনেক বেশিই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টেস্ট অধিনায়কত্ব, ওয়ানডে নেতৃত্ব, টি-টোয়েন্টির সহ-অধিনায়কত্ব, কোনো ক্রিকেটারই এক সঙ্গে এত ভার বইতে পারবে না। একদমই সম্ভব নয় এটা। দায়িত্ব দেওয়া উচিত পর্যায়ক্রমে।’
কাইফ আরও বলেন, ‘দেখুন সে কীভাবে বারবার আউট হচ্ছে, স্লিপে ধরা পড়ছে, ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করছে। অভিষেক শর্মার মতো আগ্রাসী হতে গিয়ে সে আউট হচ্ছে। অনেক কিছু চেষ্টা করছে সে। আমার মনে হয়, সময় হয়েছে তাকে বিরতি দিয়ে সেই ক্রিকেটারদের নিয়ে চেষ্টা করা, যারা প্রমাণিত। সাঞ্জু স্যামসন তো শীর্ষ মানের ক্রিকেটার, কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ পায়নি। কোনো দ্বৈত নীতি থাকা উচিত নয়। সহ-অধিনায়কদের তো আগেও বাদ দেওয়া হয়েছে। দলের স্বার্থেই গিলকে বিশ্রাম দিয়ে অন্য কাউকে আনা উচিত। এখানে দোষের কিছু নেই। সময় হয়েছে পরিবর্তনের। জাইসওয়ালের মতো ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে, স্যামসনকে বাইরে বসিয়ে রাখা হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে সুযোগ না দিয়ে। অথচ ওপেনিংয়ে স্যামসন প্রচুর রান করেছে। পাঁচ ইনিংসের মধ্যে তিনটি সেঞ্চুরি করেছে, টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে কেউ তা করতে পারেনি।’
কাইফ আরও বলেন, ‘দেখুন সে কীভাবে বারবার আউট হচ্ছে, স্লিপে ধরা পড়ছে, ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করছে। অভিষেক শর্মার মতো আগ্রাসী হতে গিয়ে সে আউট হচ্ছে। অনেক কিছু চেষ্টা করছে সে। আমার মনে হয়, সময় হয়েছে তাকে বিরতি দিয়ে সেই ক্রিকেটারদের নিয়ে চেষ্টা করা, যারা প্রমাণিত। সাঞ্জু স্যামসন তো শীর্ষ মানের ক্রিকেটার, কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ পায়নি। কোনো দ্বৈত নীতি থাকা উচিত নয়। সহ-অধিনায়কদের তো আগেও বাদ দেওয়া হয়েছে। দলের স্বার্থেই গিলকে বিশ্রাম দিয়ে অন্য কাউকে আনা উচিত। এখানে দোষের কিছু নেই। সময় হয়েছে পরিবর্তনের। জাইসওয়ালের মতো ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে, স্যামসনকে বাইরে বসিয়ে রাখা হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে সুযোগ না দিয়ে। অথচ ওপেনিংয়ে স্যামসন প্রচুর রান করেছে। পাঁচ ইনিংসের মধ্যে তিনটি সেঞ্চুরি করেছে, টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে কেউ তা করতে পারেনি।’
কাইফ আরও জানান, ‘কিছু ক্রিকেটার খুব কম সুযোগ পাচ্ছে, অন্যদেরকে আবার বাড়তি সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, কারণ আপনি তাকে দলে রাখতে চান। এটা তো পরিষ্কারভাবেই দৃশ্যমান। তবে এখন চাপ এতটাই বেড়ে গেছে যে, আমার মনে হয় পরিবর্তনের সময় হয়েছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে ভারত। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ আগামী ১৭ ডিসেম্বর, লক্ষ্ণৌতে।
পিএ/এসএন