বলিউডের চিরচেনা আলোচিত প্রেমকাহিনি রেখা–অমিতাভ বচ্চন! অথচ গভীরভাবে অমিতাভকে ভালোবাসার পরও ১৯৯০ সালে দিল্লির শিল্পপতি মুকেশ আগারওয়ালকে বিয়ে করেছিলেন রেখা। সম্প্রতি সেই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ প্রকাশ করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার বীনা রামানি।
আইএএনএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বীনা রামানি জানান, অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্ক বাস্তবে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা না দেখে রেখা এক ধরনের স্থিতি ও নতুন শুরুর খোঁজে ছিলেন। সেই সময়েই মুকেশ আগারওয়ালের সঙ্গে তার পরিচয়।
বীনা রামানি বলেন, “আমার এক বন্ধু মুকেশকে রেখার সবচেয়ে বড় ও একনিষ্ঠ ভক্ত হিসেবে বর্ণনা করেছিল। সে রেখার যেকোনো সিনেমার সংলাপ বলতে পারত, এমনকি তার পুরো জীবনকাহিনিও জানত।”
রামানি জানান, ফোনে রেখা ও মুকেশের প্রথম কথা হয় তার মাধ্যমেই। মাত্র দুই–তিন মিনিট কথা বলার পর রেখা মুকেশের নম্বর চেয়ে নেন, কিন্তু নিজের নম্বর দিতে নিষেধ করেন। পরে রেখাই মুকেশকে ফোন করেন।
মুকেশ আগারওয়ালের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বীনা বলেন, “দেখতে তিনি খুব আলাদা কেউ ছিলেন না- খাটো, গাঢ় রঙের। রাস্তায় ছয়বার পাশ কাটালেও চিনতে পারতেন না। কিন্তু কথা বললে মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না। তিনি খুবই ভদ্র ও ভালো মানুষ ছিলেন। আর রেখা ছিলেন একজন পূর্ণাঙ্গ ডিভা।”
তিনি আরও জানান, মুকেশের চোখে রেখার প্রতি যে গভীর আন্তরিকতা ও ভালোবাসা ছিল, তা তখন রেখার ভালো লেগেছিল। বীনা বলেন, “তার এক ধরনের অবসেসিভ ভালোবাসা হয়তো সেই সময় রেখার হৃদয়ভাঙা মনকে সান্ত্বনা দিয়েছিল।”
দুই শহরে বসবাস নিয়েও ছিলো শঙ্কা! রেখা মুম্বাইয়ে, মুকেশ দিল্লিতে- এই বাস্তবতা নিয়েও সন্দেহ ছিল। ছবি আদান–প্রদানের পর রেখা একবার বীনাকে বলেছিলেন, “ও কি আমার পাশে দাঁড়াতে পারে?” ইঙ্গিত ছিল, তার কল্পনায় তখনও অমিতাভ বচ্চনের উপস্থিতি।
তবু অপ্রত্যাশিতভাবেই দ্রুত বিয়ে করেন রেখা ও মুকেশ। বীনা রামানি বলেন, “হঠাৎ পত্রিকায় খবর দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এত দ্রুত হবে ভাবিনি। বাস্তবে মুম্বাইয়ের জীবন ছেড়ে দিল্লিতে মানিয়ে নেওয়াটা রেখার জন্য কঠিনই ছিল।”
১৯৯০ সালে বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই এই সম্পর্কের করুণ পরিণতি ঘটে। মুকেশ আগারওয়াল আত্মহত্যা করলে রেখার সেই বিবাহিত জীবন চিরতরে শেষ হয়ে যায়।
কেএন/টিএ