বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর নতুন করে দুটি শব্দ সামনে এসেছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে 'কোয়ারেন্টিন'; আর আরেকটি হচ্ছে 'আইসোলেশন'। এর মধ্যে আপাত দৃষ্টিতে সুস্থ মনে হওয়া মানুষদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
তাছাড়া, কারো মধ্যে যখন করোনাভাইরাসের জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়ে বা ধরা না পড়লেও তার মধ্যে উপসর্গ থাকে তখন তাকে আলাদা করে যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় তাকে বলা হয় আইসোলেশন।
মৃদু উপসর্গ আছে, এমন বেশির ভাগ রোগী বাড়িতে আইসোলেশনে থেকেই চিকিৎসা নিয়ে সেরে উঠছেন। এ ক্ষেত্রে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে একটি আলাদা ঘরে রাখতে হবে। বাড়িতে ঘরের স্বল্পতা থাকলে তিনি একই ঘরে আলাদা পর্দাঘেরা কোনায় থাকবেন। তবে শুধু চিকিৎসা নয়, আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাস আর খাবার পরিবেশনের পদ্ধতির দিকে নজর দেয়াও জরুরি।
খাওয়ার সময় বাড়িতে সদ্য তৈরি খাবার তার দরজার কাছে কেউ একজন রেখে আসবেন। তবে এ ক্ষেত্রে খাবার সরবরাহের দায়িত্ব পালন করবেন বাড়ির সবচেয়ে সুস্থ ও কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিটি। তিনি খাবার দেয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করবেন।
করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির প্লেট, গ্লাস, চামচ ও অন্যান্য ব্যবহার্য তৈজসপত্র সম্পূর্ণ আলাদা থাকবে। এসব জিনিস প্রতিবার ব্যবহারের পর গ্লাভস পরে ভালো করে সাবান-পানি দিয়ে পরিষ্কার করে অন্যদের থালা-বাসন থেকে আলাদা করে রাখতে হবে। আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে পুষ্টিবিদরা নানা পরামর্শ দিয়েছেন।
চলুন জেনে নিই, আইসোলেশনে যা খাবেন
টাইমস/জিএস