দিহানের বয়স নিয়ে ‘লুকোচুরি’, গুজব রটনাকারীদের শাস্তি দাবি

রাজধানীর কলাবাগানে স্কুলছাত্রী আনুশকা নুর আমিন অরুনার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ফারদিন ইফতেখার দিহানের বয়স কমানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সহপাঠীদের দাবি দিহানের সর্বোচ্চ শাস্তি যাতে মৃত্যুদণ্ড না হয় এজন্য একটি মহল ইচ্ছাকৃতভাবে দিহানের বয়স ১৮ এর কম দেখিয়ে প্রচার করছে। যাতে কিশোর আদালতে বিচার করা যায়। প্রকৃতপক্ষে দিহানের বয়স ২০ এরও বেশি বলে উল্লেখ করেন অরুনার সহপাঠীরা। দিহান এবছর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার কথা ছিল বলেও তারা দাবি করেন।

এসময় তারা দিহানের সঙ্গে ধরা পড়া আরও ৩ ছাত্রের বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশের দাবি জানান। এদের মধ্যে একজনের পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন অরুনার সহপাঠীরা। শনিবার রাতে দিহানের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

রাজধানীর ধানমন্ডি-২৭ নম্বরে সাম্পান রেস্তোরাঁর সামনে বিক্ষোভের পাশাপাশি মোমবাতিও প্রজ্বালন করেন শোকার্ত শিক্ষার্থীরা। ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচিতে ওই স্কুলছাত্রীর সহপাঠীদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন অভিভাবকও অংশ নেন।

শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি জানান, যার মধ্যে ‘গুজব রটনাকারীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবিও রয়েছে। যেসব বিকৃত মস্তিষ্কের ব্যক্তি গুজব ছড়াচ্ছে এবং ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটির ব্যাপারে অকথ্য কথাবার্তা বলছে এবং মেয়েটির পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে তাদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল মাস্টারমাইন্ডের ‘ও লেভেলের’ ওই ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান তার কথিত বয়ফ্রেন্ড ফারদিন ইফতেখার দিহান (১৮)। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করেন। হসাপাতাল থেকেই দিহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ‘দোষ স্বীকার’ করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন দিহান।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on: