এ মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে: প্রতিমন্ত্রী

দেশজুড়ে চলমান লোডশেডিংয়ের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বর্তমানে অর্থনৈতিক অবস্থা ও বৈশ্বিক অবস্থার কারণে আমরা সময়মত কয়লা আনতে পারেনি। তবে ১৫ থেকে ১৬ দিনের মধ্যে কয়লা এসে যাবে। কয়লা চলে আসলে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আশা করছি এ মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাটাই প্রস্তাবের ওপর এক সংসদ সদস্যদের বক্তব্যেব জবাব দিতে গিয়ে একথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেশি দিন আগের কথা না, মাত্র ১৪ বছর আগেও প্রায় ৬০ শতাংশ বাংলাদেশ অন্ধকারে ছিল। কোভিড আমাদের স্বরণ শক্তির ক্ষতি করেছে। কারণ আমরা খুব দ্রুত ভুলে যাই। আগে ১৭-১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো না। সেখানে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি। আমরা সঞ্চালয় লাইন করেছি।

নসরুল হামিদ বলেন, এক হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। যখন আমরা ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলি তখন প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার খরচের বিষয় ছিল। তার ওপর সঞ্চালন লাইন, ডিস্টিবিউশন লাইন ও জ্বালানি খরচও কিন্তু দিতে হয়। আমাদের প্রস্তুতি আছে ২০ থেকে ২২ হাজার মেগাওয়াটের । যেকোন মুহূর্তে উৎপাদন করতে পারি। কিন্তু কোভিড পরবর্তীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মত চ্যালেঞ্জ এসেছে, সারা বিশ্বে জ্বালানিসহ সব জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে অস্বাভাবিকভাবে। পাওয়া যাচ্ছে না গ্যাস ও তেল, দামও অস্বাভাবিক। আরও বড় চ্যালেঞ্জ আছে- বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে শুধু তাই নয়, তার ওপর পাবো কি পাবো না তাও অনিশ্চিত।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দিনের বেলায় ১২ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করছি, রাতের বেলায় ১৫ হাজার। আমাদের ঘাটতি আছে দুই থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট। প্রতি বছর জ্বালানি বাবদ ৮ হাজার কোটি টাকা, গ্যাসে ১২ হাজার কোটি, আর এ বছর বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ২৭ হাজার কোটি টাকা।

তিনি বলেন, প্রায় ৪০ লাখ অটোরিকশা মধ্যরাতে চার্জ দিতে ৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খেয়ে নিচ্ছে। আমরা তো বন্ধ না করে ইনক্রিজ করছি। আশা করছি এ মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সমস্যা কেটে যাবে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের এককালীন চিকিৎসা অনুদান দেবে সরকার Jul 08, 2025
img
বেস্ট ফ্রেন্ড বলে কিছু নেই: সাকিব Jul 08, 2025
img
গোলাম দস্তগীর গাজীর কোম্পানির শেয়ার, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ Jul 08, 2025
img
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিন : মুরাদ Jul 08, 2025
img
আবার জুটিতে ত্রিশা–ভেঙ্কটেশ! আসছে ত্রিভিক্রমের নতুন ফ্যামিলি ড্রামা Jul 08, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ভালো বন্ধু, আমরা আশাবাদী আলোচনার মাধ্যমে ভালো কিছু হবে : প্রেসসচিব Jul 08, 2025
img
ঢাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান Jul 08, 2025
img
চিরঞ্জিতের দুর্দান্ত রূপান্তর: ধর্মেন্দ্র হয়ে জিতে নিলেন সেরা অভিনেতার পুরস্কার Jul 08, 2025
img
'দ্য গার্লফ্রেন্ড' ছবির শ্যুটিংয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে আবেগঘন রাশমিকা Jul 08, 2025
img
ভারতের গোলামী থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি : নাহিদ ইসলাম Jul 08, 2025
img
চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত Jul 08, 2025
img
শুবমান গিলকে থামাতে সেরা অস্ত্র হতে পারেন আর্চার : ব্রড Jul 08, 2025
img
সাবেক সচিব, বিচারক ও নির্বাচন কমিশনারসহ ১২ জন সরকারি কর্মকর্তার ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল Jul 08, 2025
img
শুধু টাকার জন্য তো ক্রিকেটটা কেউ খেলে না: রনি Jul 08, 2025
img
বাবার তবলায় মায়ের গান, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ শিল্পী মা: জয়া Jul 08, 2025
আ.লীগ ছাড়া অন্য দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে ইসির চিঠি Jul 08, 2025
ঢাকাসহ ৪ বিভাগে অতি ভারী বর্ষণের শঙ্কা Jul 08, 2025
img
রণবীর, ইয়াশ ও সাই পল্লবীর ওপর আরোপ করা হয়েছে মিডিয়া ব্যান Jul 08, 2025
২০১৮'র নির্বাচনকে বৈধতা দিল বিএনপি: ফয়জুল করীম Jul 08, 2025
img
এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চাইলেন আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা Jul 08, 2025