সাকিব আল হাসান জাতীয় দলের বাইরে প্রায় বছর খানেক সময় ধরে। গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আর দেশেও আসেননি তিনি।
তবে দেহ বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে এখনও যথেষ্ট চাহিদা এই টাইগার অলরাউন্ডারের। আসন্ন গ্লোবাল সুপার লিগ টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন সাকিব।
এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন সাকিব আল হাসান। সেখানেই গতকাল (সোমবার) রাতে রাতে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সাকিব খোলামেলা নানান কথাই বলেছেন। কথা প্রসঙ্গে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই তামিম ও মুশফিকের সঙ্গে সম্পর্ক সাকিবের। কাছাকাছি সময়ে অভিষেক জাতীয় দলেও। এক সময় তামিমের সঙ্গে সাকিবের বন্ধুত্ব তো ক্রিকেটাঙ্গনের বহুল চর্চিত বিষয় ছিল। তবে এক সময় সেই সম্পর্কে ভাটা আসে। ২০২৩ এর ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে দুজনের মধ্যকার শীতল সম্পর্ক নিয়ে দলের মধ্যেও অনৈক্যের ছাপ পড়ে।
দেশের ক্রিকেটের এই দুই মহারথীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সাকিব বলেন, 'অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে আমি তামিম আর মুশফিক ভাইয়ের সাথে খেলেছি। আমরা ২০-২৫ বছর ক্রিকেট খেলেছি, অনেক ঘনিষ্ঠ। সেদিক থেকে আমি বলব আমরা ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সময় একসাথে কাটিয়েছি। তারাও আমার ভালো বন্ধু।'
প্রায় চল্লিশের দুয়ারে দাঁড়িয়ে সাকিবের উপলব্ধি–বেস্ট ফ্রেন্ড বলে কিছু হয় না। তার ভাষায়, 'কাউকে আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড বানানো কঠিন।
ক্রিকেটের বাইরে আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড বানানো উচিত। ক্রিকেটে আমার অনেক ভালো বন্ধু আছে, কিন্তু ক্রিকেটের বাইরে আমার এমন বিশ্বস্ত বন্ধু কমই আছে যাদের আমি বিশ্বাস করতে পারি। এই বয়সে আমি একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি, তা হচ্ছে বেস্ট ফ্রেন্ড বলে কিছু নেই। যে বন্ধুকে আপনি বিশ্বাস করতে পারেন সেই আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড।'
জাতীয় দলের অন্য দুই সতীর্থ রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন সাকিব, 'তাদের সবার সাথেই আমার সম্পর্ক খুব ভালো। তবে আমি সম্ভবত রুবেল হোসেনের নাম বলব। আমাদের দারুণ সময় কেটেছে। ক্রিকেটের বাইরে আমি, রুবেল, তাসকিন- আমরা অনেক মজা করে সময় পার করেছি। আমি রুবেলের কথা বলব, তাসকিনও আছে।'
এমআর/টিএ