সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ব্যবহার হলেও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের চিন্তাভাবনা নেই ইসির (নির্বাচন কমিশন) বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
রোববার (৬ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের মধ্যে আলোচনা হয় নাই তেমন। চিন্তা-ভাবনাও নেই। কারণ ৩০০ আসনে যখন ভোট হয়, তখন চার লাখ ভোটকেন্দ্র থাকে। সেখানে বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র থাকবে, এতগুলো কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে তা পর্যবেক্ষণ করা কঠিন বলে জানান তিনি।
তবে আমরা সেক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা চিহ্নিত করে ফোর্স বাড়ানো ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বেশি সদস্য নিয়োগ করা হতে পারে।
সব দল নির্বাচনে অংশ নিলে অনিয়ম ঘটনার সম্ভাবনাও কমে আসে বলে মনে করেন এই নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, সবগুলো দল যদি অংশগ্রহণ করে, সেখানে এমনিতেই একটা ভারসাম্য থাকে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে বরং তারাই শৃঙ্খলা রক্ষায় একটা ভূমিকা নেয়। কারণ তারা জানেন যে নির্বাচনে যদি কোনো পরিস্থিতির অবনতি হয়, বা ভণ্ডুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
নির্বাচনে পর্যবেক্ষক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের বিষয়ে কমিশন কোনো চাপে নেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা দিলে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিয়ে কমিশনের কোনো আপত্তি নেই বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে সংসদ নির্বাচনের কেন্দ্র বাছাই করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত খসড়া তালিকা ইসিতে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।