বায়ুদূষণে আজও শীর্ষে ঢাকা

বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এদিন সকাল ৮টার দিকে ১৯২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
 
একইসময়ে ১৮৫ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। ১৮৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই। ১৬৫ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। ১৬৩ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়।

এ ছাড়া একইসময়ে একিউআই স্কোর ১৬২ স্কোর নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কাতারের দোহা। ১৬০ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ। ১৫৭ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। ১৫২ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে চীনের সাংহাই। ১৪৬ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে চীনের উহান।

এর আগে, সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ২০০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে ছিল ঢাকা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ এবং বিষণ্নতার ঝুঁকি।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিপিএমসিএ’র প্রথম নির্বাচিত সভাপতি ডা. শেখ মহিউদ্দীন Jul 17, 2025
img
ক্যাটরিনাকে হেয় করতে ভিডিওটি প্রকাশ করিনি : জেরিন খান Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি ঢাবি সাদা দলের Jul 17, 2025
img
দুপুরের মধ্যে ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে ঝড়ের আভাস Jul 17, 2025
ফ্যাসিস্টদের আশ্রয়কেন্দ্র হয়ে উঠেছে গোপালগঞ্জ Jul 17, 2025
img
এনসিপির পদযাত্রায় হামলার প্রতিবাদ বাসদের Jul 17, 2025
img
দাম্পত্য জীবন মোটেই সুখের নয়, কিরণকে অনেক কষ্ট দিয়েছি : অনুপম খের Jul 17, 2025
img
বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিশেষ কারিগরি কমিটি ইসির Jul 17, 2025
img
দুই মাসের মধ্যে সকল প্রতিষ্ঠানে কমিটি দেবে ছাত্রদল : নাছির Jul 17, 2025
img
এনসিপির ওপর হামলা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না : এবিএম মোশাররফ Jul 17, 2025
img
জয় দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করল নিউজিল্যান্ড Jul 17, 2025
img
সূর্যসন্তানদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ: জাহিদ এফ সরদার সাদী Jul 17, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্রসহ ৬ দফা দাবিতে জুলাই ঐক্যের কফিন মিছিল Jul 17, 2025
img
মুক্তি পেল ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’র ট্রেলার, কবে আসছে এই ছবি? Jul 17, 2025
img
গুটখা খেতে দেখে পাপারাজ্জিকে ধমক দিলেন শিল্পা শেট্টি! Jul 17, 2025
img
জুলাই আন্দোলনে মূল ভূমিকা ছিল তারেক রহমানের: টুকু Jul 17, 2025
img
নীলফামারী থেকে ঢাকায় ফেরার পথে অবরোধের মুখে ২ উপদেষ্টা Jul 17, 2025
img
টেকসই আর্থিক কার্যক্রমে শীর্ষে ১০ ব্যাংক ও ২ আর্থিক প্রতিষ্ঠান Jul 17, 2025
img
অ্যাতলেটিকোয় যোগ দিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার থিয়াগো আলমাডা Jul 17, 2025
img
'নিজের এবং দলের প্রতি আত্মবিশ্বাস ছিল'- সিরিজ জয়ের পর লিটন Jul 17, 2025