নারীর মৃত্যুর তিন মাস পর গর্ভ থেকে জন্ম নিল সন্তান!

পর্তুগালের ক্রীড়াবিদ হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ক্যাটারিনা সেকুয়েরা। শিশু বয়স থেকেই অ্যাজমা রোগে ভুগছিলেন সেকুয়েরা।

সেকুয়েরা যখন অ্যাজমা রোগে গুরুতর আক্রান্ত, তখন তিনি ১৯ সপ্তাহের গর্ভবতী এবং এরপর হাসপাতালের কোমায় চলে যান। পরিস্থিতির অবনতি হলে ২৬শে ডিসেম্বর ২৬ বছর বয়সী এই ক্রীড়াবিদের মস্তিষ্ক মৃত ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু মায়ের মস্তিষ্কের মৃত্যু হলেও তার গর্ভের সন্তানের মৃত্যু চাননি ডাক্তাররা। যতদিন না গর্ভস্থ ভ্রূণটি জন্ম নিচ্ছে, ততদিন কৃত্রিম লাইফ সাপোর্ট দিয়ে তার হৃদযন্ত্র সচল রাখার সিদ্ধান্ত নেন তারা। পরে ভেন্টিলেটরে তাকে সংযুক্ত করা হয়, যাতে করে গর্ভের সন্তান বাঁচতে পারে।

চিকিৎসকরা বলছেন- তাদের উদ্দেশ্য ছিলো অন্তত ৩২ সপ্তাহ পর্যন্ত যেনো অপেক্ষা করা যায়। এদিকে মায়ের অজান্তেই তার গর্ভে তিন মাস নিজের মতো বাড়তে থাকে সন্তানটি। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবারই তার সিজার করা হয়। এর মাধ্যমে সেকুয়েরার গর্ভ থেকে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। তার ছেলের নাম রাখা হয়েছে সালভাদর। পর্তুগালে মস্তিষ্ক মৃত ঘোষণার পর সন্তান জন্ম দানের এটি দ্বিতীয় ঘটনা।

হাসপাতালের এথিকস কমিটি বলছে মাতৃগর্ভে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার বিষয়ে তারা সেকুয়েরার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিশুটির বাবাও চেয়েছেন যাতে শিশুটি বেঁচে থাকে। শিশুটিকে আরও অন্তত তিন সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে। সূত্র বিবিসি।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: