এক সপ্তাহ আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি ৬৫-৭৫ টাকা। কোরবানি ঈদের আগমনে আগেই এক লাফে তা বেড়ে ৮৫-৯০ টাকা দাঁড়িয়েছে।
কোরবানি ঈদে গরু বা খাসির মাংস রান্নায় পেঁয়াজের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। চাহিদার এমন সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাজধানীর বাজারগুলোতে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচা, মালিবাগ, রামপুরা এবং বাড্ডা এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারে প্রকার ভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। আর আমদানিকৃত ভারতীয় বড় পেঁয়াজ কম পাওয়া যায়, দামেও ছাড় নেই।
বাজারে অন্যদিকে বড় রসুন কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আদা ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে। এদিকে কারওয়ান বাজারসহ অন্যান্য পাইকারি বাজারে প্রকার ভেদে পেঁয়াজ মণ প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। যেখানে কেজি প্রতি দাম পড়ে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।
পেঁয়াজের দাম সম্পর্কে জাতে চাইলে রামপুরার ব্যবসায়ী মাহিম বলেন, ভারত থেকে আগের মতো পেঁয়াজ আসে না। অন্যদিকে কোরবারি ঈদে চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও জোগান সেই অর্থে বাড়েনি। ফলে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে জলিল নামের একজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, কোরবানির ঈদ ঘিরে প্রতিবছরই বাজারে কাঁচাপণ্য ও মসলার চাহিদা বাড়ে। ঈদকে ঘিরে বেশ আগেভাগেই সব ধরনের মসলা জাতীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়। ঈদ যত এগিয়ে আসছে, দাম তত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। শুক্র-শনিবার এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা যাচ্ছে না। কিছু কিছু এলাকায় ভ্যানে ছোট আকারের পেঁয়াজ ৮০ টাকা দরেও বিক্রি করছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের নিত্য প্রয়োজনীয় ২৭টি পণ্যের শুল্ক ও কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়। তবে, রাজধানীর বাজারে এখনো তার কোনো প্রভাব পড়েনি। অধিকাংশ নিত্যপণ্যই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। কিছু কিছু পণ্য আবার বাজেট ঘোষণার আগে থেকেই দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
বিশেষ করে মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে এলাচ, গোল মরিচের পাশাপাশি পেঁয়াজ-রসুন ও আদার দামও বেড়েছে।