যোগ্যতা নেই। আছে ভুয়া ও 'ব্যাকডেটেড কাগজ'। আর এটা দিয়ে পদ বাগিয়ে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এসিস্টেন্ট রেজিস্টারের। সরকার পদত্যাগের পর সিলেটের ছাত্রলীগ নেতা ফজলুর রহমানের - এমন জালায়াতি প্রকাশ পেয়েছে। এখানেই থামেননি। এসিস্ট্যান্ট রেজিস্টার থেকে ডেপুটি রেজিস্টার পদোন্নতি পেয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটের রেজিস্ট্রার পদ ভাগিয়ে নেন । অন্য সব আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ নেতাদের মত তিনিও এখন পলাতক।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্টার হতে ৫ বছরের অধ্যক্ষের অভিজ্ঞতা লাগে। ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম মো: ফজলুর রহমানের তখন এমন কোন অভিজ্ঞতা নেই। অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্টার হওয়ার জন্য তড়িঘড়ি করে নিজের এলাকায় আধা পাকা ভবন বাঁচায়ে 'মানিক নাহার মেমোরিয়াল একাডেমী' নামে পুরাতন তারিখের অধ্যক্ষের 'নকল' অভিজ্ঞতা দেখান। এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে ২০০০৭ সালে। তিনি তার আগের ৫ বছর ধরে অধ্যক্ষ বলে জাল কাগজ তৈরি করেন। এরপর আওয়ামী লীগের প্রথম মেয়েদে ততকালীন অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল মূহিতের সুপারিশে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসিস্টেন্ট রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার পর্যন্ত হন । আবার ডেপুটি রেজিস্ট্রারের যোগ্যতা দেখিয়ে তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটের রেজিস্ট্রার পদ ভাগিয়েন ।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, তার নিয়োগের সময় সাবেক অর্থমন্ত্রী সুপারিশ করেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে । তখন এই পদের জন্য ৫ বছরের অধ্যক্ষের শর্ত ছিল। কিন্তু তিনি তার নিজের বাবা-মার নামে তার এলাকায় একটি স্কুল এন্ড কলেজ তড়িঘড়ি করে নির্মাণ করেন এবং সেটা ব্যাকডেটেড সনদ -দেখিয়ে অর্থমন্ত্রীর সুপারিশ নেন। আর এতেই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসিস্টেন্ট রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ হয় তার। পরবর্তীতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার পর্যন্ত হন । আবার ডেপুটি রেজিস্ট্রারের যোগ্যতা দেখিয়ে তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটের রেজিস্ট্রার পদ ভাগিয়েন। ক্ষমতার পালা বদলে নিজের জালিয়াতি দুর্নীতি প্রকাশ পাচ্ছে জেনেই তিনি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।