বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা কামনা প্রধান উপদেষ্টার

সুখী ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

জাতিসংষের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে যোগ দেন অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে দেশটাকে পরিষ্কার ও সংস্কার করা। আমাদের শুরুটা ভালো করতে হবে। এটি বাস্তবায়নে আপনাদের সবার সহায়তা প্রয়োজন।’

শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল আমরা তাদের হতাশ করতে চাই না।’

সংস্কারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের পর নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে ছাত্ররা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি বছর। এটা বাংলাদেশের তরুণরাই নিয়ে এসেছে।’

এ সময় অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে আলোকচিত্রী, লেখক, কিউরেটর ও অ্যাক্টিভিস্ট শহিদুল আলম শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাগুলো নিয়ে লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

সংবর্ধনা আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আরও ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদানের মাধ্যমে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের কর্মসূচি শুরু করেন। তিনি সংবর্ধনায় বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া ড. ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগদান করেন।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মণিপুরে অতর্কিত হামলায় প্রাণ গেল দুই ভারতীয় সেনার Sep 20, 2025
img
কাজীপুর সীমান্তে ১৮ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর Sep 20, 2025
img
নির্বাচন ইস্যুতে জামায়াতকে বিএনপির প্রস্তাব Sep 20, 2025
img
৫ দফা দাবীতে সিলেট মহানগর জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ Sep 20, 2025
img
টিউলিপ সিদ্দিকের ভুয়া পাসপোর্ট ও এনআইডি কাণ্ড ফাঁস Sep 20, 2025
img
পাথর লুটের ঘটনায় লাইনম্যান মামুন গ্রেপ্তার Sep 20, 2025
img
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে : নূরুল ইসলাম বুলবুল Sep 20, 2025
img
‘এক মার্কা, এক জোট’ হলে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকবে না: মঞ্জু Sep 20, 2025
img
আংটি বদলের ছবি পোস্ট করে যা লিখলেন হান্নান মাসউদ Sep 20, 2025
img
চুপিসারে বাগদান সারলেন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ! Sep 20, 2025
img
‘আসুন, আমরা তারেক রহমানকে সহযোগিতা করি’ Sep 20, 2025
img
সাকিবের অলরাউন্ড ঝলকে ৯৬ রানের জয় পেল আটলান্টা Sep 20, 2025
img
বিএনপি নেতারা সালিশে গেলেই বহিষ্কার : শেখ ফরিদ Sep 20, 2025
img
৫ দফা দাবিতে চট্টগ্রামে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Sep 20, 2025
img
ওমানকে হারিয়ে ভারতের টানা তৃতীয় জয় Sep 20, 2025
img
ট্রাম্প-জিনপিং ফোনালাপ, আলোচনায় টিকটক ও শুল্কনীতি Sep 20, 2025
img
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন মানে জুলাই বিপ্লব অস্বীকার : হামিদুর রহমান আজাদ Sep 20, 2025
img
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদলের চাকসু যাত্রা শুরু Sep 20, 2025
img
প্রশাসনিক কারণে মোহাম্মদপুরে এসিসহ ৩ পুলিশ ক্লোজ Sep 20, 2025
img
ময়মনসিংহে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ Sep 20, 2025