নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চান ইসি কর্মকর্তারা

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতের তাগিদে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চাইছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা। এ জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।

ইসি কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার যৌক্তিকতা তুলে ধরে তারা জানান, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রার্থী বা রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে বাধ্য করা। আর এ জন্য নির্বাচন কমিশনে দায়িত্বরতদের হাতে তাৎক্ষণিক শাস্তি বিধানের ক্ষমতা ন্যস্ত করা জরুরি।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের আচরণবিধি মানাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিনের আগেই নির্বাচন কমিশনের প্রতি রাজনৈতিক দল তথা প্রার্থীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মাঠপর্যায়ে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হলে সার্বক্ষণিক নিবিড় তদারকি ও আইন ভঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এ বিষয়টি দেখভাল করার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হলো নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত আচরণবিধি ভঙ্গ করার ঘটনা প্রত্যক্ষ করা সত্ত্বেও তাৎক্ষণিকভাবে তা প্রতিহত করার জন্য তাকে আইনি ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি।

কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনগণ মনে করেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। ফলে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ইলেক্টোরাল ম্যাজিস্ট্রেসি দেওয়া প্রয়োজন। যাতে তারা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় তাৎক্ষণিক শাস্তির বিধান করতে পারেন এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারেন।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের এককালীন চিকিৎসা অনুদান দেবে সরকার Jul 08, 2025
img
বেস্ট ফ্রেন্ড বলে কিছু নেই: সাকিব Jul 08, 2025
img
গোলাম দস্তগীর গাজীর কোম্পানির শেয়ার, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ Jul 08, 2025
img
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিন : মুরাদ Jul 08, 2025
img
আবার জুটিতে ত্রিশা–ভেঙ্কটেশ! আসছে ত্রিভিক্রমের নতুন ফ্যামিলি ড্রামা Jul 08, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ভালো বন্ধু, আমরা আশাবাদী আলোচনার মাধ্যমে ভালো কিছু হবে : প্রেসসচিব Jul 08, 2025
img
ঢাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান Jul 08, 2025
img
চিরঞ্জিতের দুর্দান্ত রূপান্তর: ধর্মেন্দ্র হয়ে জিতে নিলেন সেরা অভিনেতার পুরস্কার Jul 08, 2025
img
'দ্য গার্লফ্রেন্ড' ছবির শ্যুটিংয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে আবেগঘন রাশমিকা Jul 08, 2025
img
ভারতের গোলামী থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি : নাহিদ ইসলাম Jul 08, 2025
img
চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত Jul 08, 2025
img
শুবমান গিলকে থামাতে সেরা অস্ত্র হতে পারেন আর্চার : ব্রড Jul 08, 2025
img
সাবেক সচিব, বিচারক ও নির্বাচন কমিশনারসহ ১২ জন সরকারি কর্মকর্তার ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল Jul 08, 2025
img
শুধু টাকার জন্য তো ক্রিকেটটা কেউ খেলে না: রনি Jul 08, 2025
img
বাবার তবলায় মায়ের গান, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ শিল্পী মা: জয়া Jul 08, 2025
আ.লীগ ছাড়া অন্য দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে ইসির চিঠি Jul 08, 2025
ঢাকাসহ ৪ বিভাগে অতি ভারী বর্ষণের শঙ্কা Jul 08, 2025
img
রণবীর, ইয়াশ ও সাই পল্লবীর ওপর আরোপ করা হয়েছে মিডিয়া ব্যান Jul 08, 2025
২০১৮'র নির্বাচনকে বৈধতা দিল বিএনপি: ফয়জুল করীম Jul 08, 2025
img
এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চাইলেন আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা Jul 08, 2025