নিত্যপণ্যের চড়া দামের উত্তাপ সইতে না পেরে, ভর্তুকি মূল্যের খোলা বাজারে স্বস্তি খুঁজছেন সাধারণ মানুষ। তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বাড়ছে বিড়ম্বনা। চাহিদা মেটাতে বিক্রি কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের।
নিত্যপণ্যের চড়া দামে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষের হাহাকার দীর্ঘ দিনের। রাজনৈতিক সমীকরণে পাল্টেছে ক্ষমতার ধরণ, কিন্তু দাম নিয়ে স্বল্প আয়ের মানুষের দীর্ঘশ্বাস যেনো ঘুরপাক খাচ্ছে বাজারের কানা গলিতেই।
বাজারের সিন্ডিকেটরা যখন ধরা ছোঁয়ার বাইরে, তখন বাধ্য হয়েই দোকানীর ভূমিকায় সরকার। কম দামে খোলা বাজারে পণ্য নিয়ে হাজির কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। অনেক হতাশার ভীড়ে খানিকটা আশাবাদী সাধারণ ভোক্তারা। লাজ সরম ফেলে এই কাতারে মধ্যবিত্তরাও।
খোলা বাজারে পণ্য কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, যে বেতন পাই আর নিত্যপণ্যের যে দাম তাতে সংসার চালানো কঠিন। তাই বাধ্য হয়ে এখানে এসেছি। কারণ বাহির থেকে এখানে অর্ধেক দামে পণ্য ক্রয় করা যাচ্ছে।
এ বাজারে মিলছে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি আলু, ৭০ টাকা দরে দুই কেজি পেঁয়াজ, ১'শ ১০ টাকায় এক ডজন ডিম। বাজার দরের চেয়ে কম দামে মিলছে পেপে-লাউ-পটলসহ ১০ রকমের কৃষিপণ্য। তবে অভিযোগ, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম।
অবশ্য বিক্রেতাদের দাবি, একজন ক্রেতা একাধিকবার পণ্য নেয়ায় হচ্ছে বিশৃঙ্খলা। রয়েছে এ কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনাও।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম বলেন, আমাদের কিছু সিমাবদ্ধতা রয়েছে, সবার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের টার্গেট তো নিম্ন আয়ের মানুষ।
রাজধানীর ২৬ টি স্থানসহ এ বাজার চালু হয়েছে খুলনা ও চট্টগ্রামে।